গোরাবাজারে এই দোকানের সামনেই গুলি করা হয় গণেশ কুন্ডুকে (ইনসেটে)। ফাইল চিত্র।
ডেকরেটার্সের দোকান দখল করতে বাধা পেয়েই গণেশ কুণ্ডুকে খুন করে তাঁরই এক পরিচিত। ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে বাচ্চু দাস নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী এই কাজ করিয়েছে বলে বলে প্রাথমিক পুলিশের অনুমান। শনিবার দমদমের গোরাবাজারে এই শুটআউটের ঘটনায় খোঁজখবর শুরু করেছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ছ’জনকে আটক করে বাচ্চু দাসের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দমদম গোরাবাজারের মতো ব্যস্ত এলাকায় প্রণব সাহার ডেকরেটার্সের দোকান। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্যে তিনি ব্যবসায় খুব একটা নজর দিতে পারেন না। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর ডেকরেটার্সের ব্যবসা চালাতেন বিশ্বস্ত কর্মী গণেশ কুণ্ডু।
ওই দোকানের উপর নজর পড়েছিল স্থানীয় দুষ্কৃতীদের। মালিক প্রণব সাহাকে হুমকি দিয়ে দোকান এবং ব্যবসা কব্জা করতে চেয়েছিল গণেশের এক পরিচিত। কিন্তু, গণেশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশের অনুমান, হয়তো সে কারণেই গণেশকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
শুক্রবার রাতে গোরাবাজার এলাকায় বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী আচমকা গুলি করে গণেশকে খুন করে। এই ঘটনার পর থেকে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, সম্প্রতি দমদম এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তোলাবাজি চলছে। টাকা না পেলেই খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরিকাঠামো আছে কি? মেলে না জবাব, মেট্রো-বিপর্যয়ে ভগবানই ভরসা
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই গণেশের সঙ্গে কয়েকজন লোকের বচসা হয়। গণেশ কুণ্ডুর সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের ওঠাবসা ছিল। তাই খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক কারণও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: কোলে তিন মাসের দগ্ধ শিশু, ওয়ার্ড খুঁজতেই এক ঘণ্টা ঘুরপাক খেলেন মা
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মুখ মাফলারে ঢাকা ছিল। বাইক থেকে নেমে দোকানে ঢুকে যায়। গণেশের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে। এরপরেই নাকি বন্দুক বের করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে নাগের বাজারের দিকে পালিয়ে যায়।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy