এই সাপ (চিহ্নিত) ঘিরেই হুলস্থুল। —নিজস্ব চিত্র
তিনসুকিয়ায় বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিলে তৃণমূল। যাদবপুর ৮-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিশাল মিছিল আসছে। হাজরা মোড়ে অপেক্ষা করছেন দলের দুই সাংসদ, দুই মন্ত্রী। হাজরা পার্কের গায়ের ফুটপাতে চেয়ার পেতে বসে সাংসদ সুব্রত বক্সি, সুখেন্দুশেখর রায় এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কখনও অনুগামী, সমর্থক, সাংবাদিকদের সঙ্গে কখনও বা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন মন্ত্রী-সাংসদরা। ঠিক তখনই একটা ঘরচিতি সাপকে দেখে হুলস্থুল পড়ে যায় মন্ত্রী-সাংসদদের মধ্যে।
আচমকাই তাঁদের সামান্য দূরে জটলা, হইচই। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পথচলতি মানুষের ভিড়। উৎসুক চোখে তখন মন্ত্রী-সাংসদরাও বিচলিত। উৎকণ্ঠা ধরে রাখতে না পেরে চেয়ার ছেড়ে উঠেই পড়লেন সুখেন্দুশেখর রায়। জটলার কাছে গিয়েই তড়াক করে লাফিয়ে সরে এলেন। এ যে জলজ্যান্ত চন্দ্রবোড়া সাপ! চলে এসেছে এক্কেবারে জনারণ্যে, ফুটপাতের উপর। শনাক্ত করেন সুখেন্দুশেখরবাবুই।
এ দিন হাজরার মিছিলে নির্বিষ ঘরচিতিকে চন্দ্রবোড়া ভেবেই হইহুল্লোড়, চেঁচামেচি, হুলস্থুল। তত ক্ষণে চলে এসেছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। ভিড়ের মধ্যে থেকেই উড়ে আসছে ‘ধর-ধর’, ‘ওরে বাপরে’, ‘কী ভয়ঙ্কর’—ইত্যাদি সব শব্দবন্ধ।
এভাবেই বসে ছিলেন দুই মন্ত্রী ও দুই সাংসদ। —নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে তিনসুকিয়ায় বন্ধ, চলছে সেনা অভিযান
অবশেষে কয়েক জন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী-সমর্থক মিলে কোনওক্রমে সাপটিকে একটি বস্তার মধ্যে ঢোকানোর পর আতঙ্ক-উৎকণ্ঠার অবসান হয়। তত ক্ষণ পর্যন্ত শোভনদেব আর সুখেন্দুশেখর চেয়ারেই বসেননি।
আরও পডু়ন: ‘তিনসুকিয়ার ঘটনায় আমাদের রক্তে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে’
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সি অবশ্য চেয়ারেই বসেছিলেন। তবে তাঁদের চোখেও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ছিল। পরে বন দফতরে খবর দেওয়া হলে তারা এসে সাপটিকে নিয়ে যায়। তার পর সর্প-পর্বে যবনিকা পড়ে। পরে অবশ্য ছবি দেখে সাপ বিশেষজ্ঞ সাপটিকে ঘরচিতি বলে শনাক্ত করেছেন। ঘরচিতি নির্বিষ বলে জানিয়েছেন তিনি।
(প্রথমে ছবি দেখে সাপটিকে চন্দ্রবোড়া মনে করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল চন্দ্রবোড়া। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy