চায়ের দোকানের মালিক রুবিনা পালের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলারা তাঁকে মারধর করেন ও দোকানে ভাঙচুর চালান। প্রতীকী ছবি।
চায়ের দোকান খোলা থাকে অনেক রাত পর্যন্ত। সেই দোকান ঘিরে চলে আড্ডা। ওই জমায়েতের জেরে যাতায়াতে অসুবিধা হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে যা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হল দমদম রোডের ঘুঘুডাঙা ফাঁড়ি এলাকায়। চায়ের দোকানি ও ক্রেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের মারধর এবং চায়ের দোকান ভাঙচুর করেছেন। পাল্টা নালিশ জানিয়েছেন বাসিন্দারাও। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই চায়ের দোকানের সামনে গল্পগুজব করছিলেন অনেকে। ছিলেন কয়েক জন মহিলাও। রাস্তায় টুল পেতে বসে খাওয়াদাওয়া, গানবাজনা ও ধূমপান চলছিল, যা নিয়ে আপত্তি জানান স্থানীয়দের একাংশ। এর ফলে দু’পক্ষের বচসা বেধে যায়, যা গড়ায় ধাক্কাধাক্কিতে। ক্রেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা নীতি-পুলিশের ভূমিকা নিয়েছিলেন। কেন তাঁরা রাস্তায় গিটার বাজিয়ে গান করছেন, কেন মেয়েরা ধূমপান করছেন, এ সব প্রশ্ন তোলা হয়। তাঁদের দাবি, দলে ভারী হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের মারধরও করেন।
চায়ের দোকানের মালিক রুবিনা পালের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলারা তাঁকে মারধর করেন ও দোকানে ভাঙচুর চালান। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে দোকান করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন ওঁরা। খদ্দেররা কে, কী পোশাক পরবেন, ধূমপান করবেন কি না, তা দেখার দায় তো আমার নয়।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মারধর বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। উল্টে তাঁরাই আক্রান্ত হন। তাঁদের অভিযোগ, ওই চায়ের দোকানে বসে নেশাও করেন অনেকে। স্থানীয় দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল পুরপ্রতিনিধি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বাসিন্দারা শুধু প্রতিবাদ জানিয়েছেন, নীতি-পুলিশের ভূমিকা নেননি।’’
স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌতম সাহা মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘মানুষের সমস্যা হলে তাঁরা নিশ্চয়ই সরব হবেন। কিন্তু প্রশাসন কোথায়?’’ দক্ষিণ দমদম শহর (দমদম বিধানসভা) তৃণমূলের সভাপতি তথা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সুকান্ত সেনশর্মার দাবি, প্রশাসন আগেও পদক্ষেপ করেছিল। পরিস্থিতি ফের যে কে সে-ই। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা জানান, দু’পক্ষের অভিযোগ দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy