এ বার শহরের সব বড় সরকারি হাসপাতালগুলির জঞ্জাল সাফাই করবে কলকাতা পুরসভা। এর জন্য যত জন ১০০ দিনের কর্মী প্রয়োজন, তার জোগানও দেবে পুরসভাই। বুধবার কলকাতা পুরসভায় এ কথা জানান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
শোভনবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে দু’-এক দিনের মধ্যেই হাসপাতালগুলিতে সাফাই অভিযান শুরু করবেন পুরকর্মীরা।’’
মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনই যে এই সিদ্ধান্তের কারণ তা মানছেন পুর কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে শম্ভুনাথ পণ্ডিতে কর্মী পাঠিয়ে সাফাই অভিযানে যান মেয়র। এর পরেই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় পুরসভায়।
মেয়র মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, হাসপাতালের ভিতর তো দেখে পূর্ত দফতর। তাই কলকাতা পুরসভা ওখানে কিছু করে না। এ দিন অবশ্য সে প্রসঙ্গ আর তোলেননি শোভনবাবু। বরং তিনি জানান, পূর্ত দফতর, কেএমডিএ, এইচআরবিসি এক একটি এজেন্সি। কলকাতা পুরসভা শহরের মূল দায়িত্বে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সব দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়সাধন করে কাজ করার পক্ষপাতী।
এ বার থেকে শহরের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজেই নিয়মিত সাফাই অভিযান চালাবে পুরসভার ১০০ দিনের কর্মীরাই। তিনি জানান, কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণের কাজে প্রায় ১৪ হাজার ১০০ দিনের কর্মী আছেন। তাঁরাই ওই কাজ করবেন।
পুরসভা কত দিন এ কাজ করবে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘‘এটা অস্থায়ী ব্যবস্থা নয়। এখন থেকে ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টাই কাজ করবেন পুরকর্মীরা।’’ যদিও পাঁচটি বড় হাসপাতাল সাফাই করার মতো যথেষ্ট কর্মী রয়েছে কি না তা নিয়ে পুরসভার অন্দরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। বাম কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, ‘‘বিরোধী কাউন্সিলরদের এলাকা থেকে ১০০ দিনের সাফাইকর্মী তুলে নেওয়া হবে না তো!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy