প্রায় ১২ বছর পর কোন জায়গায় জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডের তদন্ত? ফাইল চিত্র।
জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনা মামলায় সিবিআইয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। কী অবস্থায় রয়েছে তদন্ত, বিচারপ্রক্রিয়া কত দূর এগিয়েছে— এ সব পুঙ্খানুপুঙ্খ জানাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন।
সম্প্রতি জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে জামিনের আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পাঁচ জন। এঁদের নাম মন্টু মাহাতো, লক্ষ্মণ মাহাতো, সঞ্জয় মাহাতো, তপন মাহাতো এবং বাবলু মাহাতো। তার প্রেক্ষিতেই সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট।
মামলাকারীদের আইনজীবী হাই কোর্টে জানান, চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে এই মামলার শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে বিচারক নেই। ফলে বিচারপ্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। তা ছাড়া, এক দশক পরেও ওই ঘটনার সাক্ষ্যগ্রহণ এখনও বাকি রয়েছে। এই কারণ দেখিয়ে পাঁচ জনের জামিন চাওয়া হয়। উল্লেখ্য এই মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের (আরডি কোর্ট অর্থাৎ রি-ডেজিগনেটেড কোর্ট) আদালতে।
২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। ১৭০ জন যাত্রী আহত হন। উল্টো দিকের মালগাড়ির চালকও নিহত হন। অভিযোগ, মাওবাদী-মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির লোকজন আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy