—প্রতীকী ছবি।
আইনজীবীদের গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই কলকাতা হাই কোর্ট সংলগ্ন এলাকায়। তবে মিলেনিয়াম পার্ক সংলগ্ন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের (কলকাতা বন্দর) জমিতে ওই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সে সব দিক বিবেচনা করেই হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে তাঁদের জমি, পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে কি না, তা বিবেচনা করে দেখতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করল কলকাতা হাই কোর্ট। গত সপ্তাহে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংলগ্ন এলাকার দূষণ রোধ এবং ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সরানোর মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে ওই অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর এই বিষয়ে প্রস্তাব জমা পড়েছিল। হাই কোর্ট সংলগ্ন চত্বরে আইনজীবীদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটা তখনও বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেখতে বলেছিল আদালত। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, মিলেনিয়াম পার্ক তৈরির জন্য কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৩০ বছরের মেয়াদে রাজ্য সরকারকে জমি লিজ দিয়েছিল। ২০১৯ সালে সেই লিজ-চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। লিজে যে পরিমাণ জমি দেওয়া হয়েছিল, তাতে পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ১০০টি গাড়ি রাখা যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানিয়েছিলেন, ওই জমি রাজ্য সরকার ফের বন্দরের কাছ থেকে লিজে নিতে পারে এবং সেখানে আইনজীবীদের গাড়ি রাখার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। এ ছাড়াও চক্ররেল এবং মিলেনিয়াম পার্কের মধ্যবর্তী জায়গায় অব্যবহৃত একটি অংশ রয়েছে। যেখানে আরও ৩০-৪০টি গাড়ি রাখার বন্দোবস্ত করা যাবে।
অনেকের মতেই, হাই কোর্ট এলাকার সুরক্ষা ও যে কোনও রকমের বিপর্যয় এড়াতে গাড়ি পার্কিংয়ের অবিলম্বে একটি ব্যবস্থা করা দরকার। কারণ, ওখানে যে ভাবে ঘেঁষাঘেঁষি করে গাড়িগুলি দাঁড় করানো থাকে, তাতে যে কোনও ধরনের গাড়ি ঢোকার পথই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে দমকলের ইঞ্জিন, পুলিশ বা অন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর গাড়ি ঘটনাস্থলে ঢুকতে রীতিমতো বেগ পেতে হবে। তার জন্যই আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে এ বিষয়ে দ্রুত এবং সুষ্ঠু সমাধান দরকার বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy