গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
রাত ১১টা। বন্দর এলাকার রিমাউন্ট রোড ধরে বাড়ি ফিরছিলেন বছর তিরিশের এক বাইক আরোহী। আচমকাই দ্রুত গতিতে অ্যাপ ক্যাবের ধাক্কা। ছিটকে পড়ে যান ওই বাইক চালক। গাড়ি না থামিয়ে যুবককে পিষে দিয়ে চলে যায় ক্যাবটি।
প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনা মনে হলেও ধাক্কা মারার ধরন, স্থানীয়দের বক্তব্য এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর সন্দেহ হয় পুলিশের। তা হলে কি ইচ্ছে করেই ধাক্কা মারা হয়েছিল?
তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ফ্যাটাল স্কোয়াড। ধীরে ধীরে খুলতে থাকে জট। পরে জানা যায় এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে ওই বাইক আরোহীকে। নিহত বাইক আরোহীর নাম সঞ্জয় হালদার। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত অ্যাপ ক্যাব চালক দিলীপ রামকে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২১ জুলাই রাত ১১টা নাগাদ কার্ল মার্কস সরণির বাসিন্দা সঞ্জয় হালদার রিমাউন্ট রোড দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটলেও, মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে একটি ধাবায় ঝামেলার বিষয়টি সামনে আসে।
দুর্ঘটনার কিছু আগে সঞ্জয়ের সঙ্গে দিলীপের ঝামেলা হয় স্থানীয় একটি ধাবায়। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও, অপমানিত হয় অ্যাপ-ক্যাব চালক। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি দিলীপ। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বাইক আরোহীর পিছু নিয়ে রিমাউন্ট রোডে দ্রুত গতিতে ধাক্কা মারে দিলীপ। পরে গাড়ির চাকা দিয়ে সঞ্জয়কে পিষেও দেয়।
ওই এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ এবং স্থানীয়দের বক্তব্যে এই দুর্ঘটনায় একটি সাদা রঙের সুইফট ডিজায়ার যুক্ত থাকার বিষয়টি সামনে আসে। গত ছ’দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ওই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সে নিজের দোষ স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেহালা-কাণ্ড: কাজ করতে এসে রেকি! গয়না লুঠের পর শ্বাসরোধ করে খুন বৃদ্ধাকে, জালে কাঠমিস্ত্রি
রেষারেষি দেখলে আজও আতঙ্কে ভোগেন প্রৌঢ়
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy