ফাইল চিত্র।
রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরেও বাসমালিকদের পাঁচটি সংগঠনের প্রস্তাবিত ধর্মঘট নিয়ে জট কাটল না। বুধবার বিকেলে ময়দান তাঁবুতে ওই বৈঠকে পরিবহণ সচিব রাজেশ সিংহ ছাড়াও হাজির ছিলেন ওই দফতরের ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ দত্ত, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে এবং ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার।
সরকারের তরফে বৈঠক ডাকা হলেও আলোচনার শুরুতেই তাল কাটে বাসমালিক সংগঠনগুলির একাংশ বেঁকে বসায়। ধর্মঘটের ডাক দেওয়া পাঁচটি সংগঠন ছাড়াও যারা ধর্মঘট সমর্থন করছে না, সেই দুই বাসমালিক সংগঠনকেও বৈঠকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’ এবং ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসতে অস্বীকার করেন অন্য পাঁচ সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁরা রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলার দাবি জানান। বৈঠক ছেড়ে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন ধর্মঘটী সংগঠনের নেতারা। এর পরে ধর্মঘট-বিরোধী ‘বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’ এবং ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর প্রতিনিধিরা রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। সেই বৈঠক মিটলে তার পরে যান ধর্মঘটী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানে ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’, ‘বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট’, ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’, ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’ এবং ‘ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস সার্ভিস’-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্য প্রশাসন বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। সরকারের তরফে বাসমালিকদের দাবিদাওয়া বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাসমালিকেরা জানান, পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে তাঁদের প্রতিবাদ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কৃষি আইনের প্রতিবাদে মাসখানেক আগেই রাজ্যে ধর্মঘট হয়েছে। তা হলে আমরা ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকলে সমস্যা কোথায়?’’ ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘ডিজেলের খরচ মিটিয়ে পর্যাপ্ত যাত্রী ছাড়া বাস চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’’ ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ঘোষের কথায়, ‘‘সরকার চায়, মানুষের উপরে বোঝা না চাপাতে। আমরাও চাই সমস্যা মিটুক। কিন্তু এ ভাবে চালানো অসম্ভব।’’
‘বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’ এবং ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর তরফে রাহুল চট্টোপাধ্যায় ও টিটু সাহার মতে, ধর্মঘটী সংগঠনগুলি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘সবে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এই সময়ে আমরা ধর্মঘট ডাকার বিরুদ্ধে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সরকারের কাছে সাহায্যের দাবি জানাচ্ছি।’’
ধর্মঘট ডাকা পাঁচ সংগঠনকে তাদের দাবিদাওয়া লিখিত ভাবে জানাতে বলেছে প্রশাসন। তাদের তরফে ধর্মঘট প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা চলবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন পরিবহণ সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান মদন মিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy