—ফাইল চিত্র
সরকারি সাহায্য নিতে অস্বীকার করে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতেই অনড় অধিকাংশ বাসমালিক। সেইসঙ্গে সরকারি সাহায্য নিয়ে রবিবার তাঁরা বিভাজনের অভিযোগও তুলেছেন। বাসমালিকদের বক্তব্য, লাগাতার ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং কোভিড পরিস্থিতির জেরে সমস্যায় জেরবার হতে হচ্ছে প্রতিটি জেলার বাস ও মিনিবাস মালিকদের। সে ক্ষেত্রে শুধু মাত্র কলকাতার বাসমালিকদের জন্যই কেন অনুদান দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তার প্রতিবাদে আগামী সোমবার থেকে রাস্তায় বাস এবং মিনিবাস না চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাসমালিকদের একাংশ। তার ফলে সপ্তাহের শুরুতেই যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, জুলাই থেকে আগামী তিন মাস কলকাতার ৬ হাজার বাস এবং মিনিবাস মালিকদের মাসিক ১৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, কোনওমতেই বাস ভাড়া বাড়ানো যাবে না। এর পর মনে করা হচ্ছিল, ভাড়া নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তাতে ছেদ পড়বে। কিন্তু এ নিয়ে নতুন করে জট বেধেছে।
কলকাতায় চলা বেসরকারি বাসমালিকদের অধিকাংশই জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সদস্য। এ দিন ওই সংগঠনের তরফে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকা হয়। তাতে যোগ দেয় অন্যান্য সংগঠনও। বাসমালিকদের একাংশের দাবি, লাগাতার ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। গত ২১ দিন ধরে টানা দাম বেড়েছে পেট্রল-ডিজেলের। এমন পরিস্থিতিতে ৬ হাজার বাস-মিনিবাসকে রাজ্যের মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান যথেষ্ট নয়। তাঁদের দাবি, দিন দিন যে ক্ষতি হচ্ছে তা দৈনিক ৫০০ টাকার সরকারি সাহায্যে পুষিয়ে নেওয়া অসম্ভব। বাসমালিকদের একাংশের দাবি, যত সিট-তত যাত্রী এই ফর্মুলা মানতে গেলে সরকারের এই সাহায্য কম।
আরও পড়ুন: ছেলের মৃত্যু, স্ত্রী-র চলে যাওয়া, আত্মঘাতী কাজ খোয়ানো বেহালার নিরাপত্তা রক্ষী
এর সঙ্গেই তাঁদের প্রশ্ন, জেলাতেও বহু বাস-মিনিবাস চলে, তারা কেন সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হবে? সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সোমবার থেকে বাস চালানো আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন। অনেকেই বাস নামাতে চাইছেন না। সোমবার থেকে হয়তো বাস নামানো যাবেও না। আর আমরা বিভাজনও চাই না। আমরা মিলিত ভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যত দিন ভাড়াবৃদ্ধির বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না হচ্ছে, তত দিন আমাদের পক্ষে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে না।’’
আরও পড়ুন: প্রযোজক বললেন আমার জামার মাপ তিনি নিজেই নেবেন
বাস-মিনিবাস পুরোদমে চালানোর অনুমতি দেওয়া হলেও, শহরে মাত্র হাজার দুয়েক বেসরকারি বাস চলছে। বাসের সংখ্যা কম থাকায় এমনিতেই ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। সোমবার থেকে যদি ওই বেসরকারি বাসও রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায়, তা হলে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠবে। বৃহত্তর কলকাতায় প্রতিদিন হাজার দেড়েক সরকারি বাস চলে। বাকি প্রয়োজন মেটায় বেসরকারি বাস। সেই বেসরকারি বাস কমে গেলে সমস্যা আরও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy