প্রতীকী ছবি
দীর্ঘ দু’মাস পরে আজ, সোমবার কলেজ স্ট্রিটে বইপাড়া খুলছে। প্রকাশক এবং বই বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে তাঁরা দোকান খোলার অনুমতি পেয়েছেন। করোনার সব বিধিনিষেধ মেনেই দোকান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন বই ব্যবসায়ীরা। তবে এ দিন ইদের কারণে অবশ্য বইপাড়া ছুটি। তাই সোমবার হয়তো সব দোকান খুলবে না। মঙ্গলবার থেকে সব দোকান খুলবে বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ী ও প্রকাশকেরা।
কলেজ স্ট্রিটের বই ব্যবসায়ী ও প্রকাশকেরা জানাচ্ছেন, লকডাউন এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তাঁরা বিধ্বস্ত। এর মধ্যে একটু হলেও আশার আলো বইপাড়া খোলার অনুমতি পাওয়া।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলেন, ‘‘খুবই ভাল খবর। তবে শুধু দোকান খুললেই চলবে না। ধীরে ধীরে গণ পরিবহণও স্বাভাবিক হতে হবে। আমাদের বই ব্যবসায়ী ও অনেক প্রকাশককে ট্রেনে, বাসে চেপে দূর থেকে আসতে হয়। অনেকে ট্যাক্সিতেও আসেন। বই কিনতেও অনেকে দূর থেকে আসেন।’’
সুধাংশুবাবু জানান, আমপানের পরে সব থেকে খারাপ অবস্থা ছোট ব্যবসায়ীদের। ফুটপাতে দোকান চালান এমন অনেকেই দূরে থাকায় লকডাউনের জন্য আমপানের পরেও বইপাড়ায় আসতে পারেননি। এখনও তাঁরা জানেন না ঝড়ের কারণে তাঁদের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে বইপাড়ায় মোট কত ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি।
সুধাংশুবাবু জানান, সবার সাহায্যের জন্য গিল্ডের তরফে থেকে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই দুর্দিনে তাঁরা সকলের কাছেই সাহায্য চাইছেন।
দোকান খুললেও করোনার সব বিধিনিষেধ মেনেই দোকান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক ও বই ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, আমপান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরে যেটুকু অবশিষ্ট আছে তা নিয়েই তাঁরা দোকান খুলবেন। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল তার হিসাব করতে হবে। তবে দোকান খোলার পরে প্রত্যেক দোকানদারকে মাস্ক পরতে হবে। প্রয়োজনে গ্লাভসও ব্যবহার করবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে দোকানে যেন ভিড় না হয় সেটাও তাঁরা খেয়াল রাখবেন।
ব্যবসা করার সময়ে সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা হবে বলেও তাঁরা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy