সন্দীপ বসু।
বাজারে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে আর ফেরেননি। অনেক পরে ফোন করা হলে সেটি ব্যস্ত পাওয়া যায়, এমনই দাবি বৃদ্ধের পরিবারের। তার পরে আর যোগাযোগ করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার বিকেলে আলিপুরের রেজিস্ট্রি অফিসের দোতলার শৌচালয়ে বৃদ্ধকে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃদ্ধের নাম সন্দীপ বসু (৬৭)। তিনি রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার ম্যুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা। ২৬ জানুয়ারি, বুধবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ দিন দুপুরে ওই শৌচালয়ের সামনে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বৃদ্ধের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশের ধারণা, মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ায় তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে।
দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মীর পরিবারের তরফে রিজেন্ট পার্ক থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। খবর পেয়ে রেজিস্ট্রি বিল্ডিংয়ে আসে আলিপুর থানার পুলিশ ও কুইক রেসপন্স টিম। পুলিশের দাবি, বৃদ্ধকে উদ্ধারের সময়ে তিনি বেঁচে ছিলেন। পরে তাঁর মোবাইল পরীক্ষা করে দেখা যায়, সিম কার্ড উল্টো করে লাগানো। পুলিশ সেটি ঠিক করে বৃদ্ধের মেয়েকে ফোন করে। তাঁকে হাসপাতালে ডেকে সন্দীপবাবুকে শনাক্ত করানো হয়। এক আত্মীয় অভিযোগ করেন, সন্দীপবাবুকে খুন করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, গত বছর ভবানীপুরের সূর্যকুমার চ্যাটার্জি স্ট্রিটের পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করে বৃদ্ধ ম্যুর অ্যাভিনিউয়ে ফ্ল্যাট কেনেন। সেই সংক্রান্ত সমস্যা থেকে তিনি খুন হতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন ওই আত্মীয়।
পুলিশের দাবি, বৃদ্ধের দেহের সুরতহালে তেমন আঘাতের চিহ্ন মেলেনি, যা থেকে খুনের সন্দেহ করা যায়। পরিবারের তরফে অভিযোগও দায়ের হয়নি। পুলিশের ধারণা, বৃদ্ধ মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy