Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Vande Bharat Express

রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারতের স্টপেজ চেয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্ত মজুমদারের

সুকান্তের দাবি, বছরভর দেশবিদেশের পড়ুয়া এবং পর্যটকেরা শান্তিনিকেতনে আসেন। তাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি বোলপুর-শান্তিনিকেতনে দাঁড়ালে উপকৃত হবেন বহু মানুষ।

বোলপুর শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারতের স্টপেজ চেয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্ত মজুমদারের।

বোলপুর শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারতের স্টপেজ চেয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্ত মজুমদারের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:১২
Share: Save:

কবিগুরুর কর্মক্ষেত্র শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ চেয়ে চিঠি দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একজন জনপ্রতিনিধি তথা বাংলার নাগরিক হিসাবে তিনি রেলমন্ত্রীর কাছে এই দাবি করছেন বলে চিঠিতে লিখেছেন তিনি।

হাতে আর মাত্র এক দিন। ৩০ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। উদ্বোধন করতে হাওড়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাত্রাপথে সময় লাগবে সাড়ে ৭ ঘণ্টা। দাঁড়ানোর কথা নিউ ফরাক্কা এবং মালদহ টাউন স্টেশনে। কিন্তু আরও একটি স্টপেজ চেয়ে এ বার চিঠি গেল রেলমন্ত্রীর দফতরে। চিঠির প্রেরক রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত। তাঁর দাবি, কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন-বোলপুর স্টেশনে দাঁড়াক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

সুকান্তের দাবি, বছরভর দেশবিদেশের অসংখ্য পড়ুয়া এবং পর্যটক শান্তিনিকেতনে আসেন। কিন্তু বোলপুর শান্তিনিকেতনে নেই বিমান যোগাযোগ। তাই বন্দে ভারত ট্রেন বোলপুর-শান্তিনিকেতনে দাঁড়ালে উপকৃত হবেন বহু মানুষ। বোলপুর-শান্তিনিকেতনে স্টপেজ দেওয়া হলে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই মানুষ সাধুবাদ জানাবেন বলেও রেলমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন সুকান্ত।

শেষে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘একজন জনপ্রতিনিধি তথা বাংলার মানুষ হিসাবে আমার একান্ত আর্জি, বোলপুর- শান্তিনিকেতন স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হোক।’’

হেরিটেজ তালিকাভুক্ত শান্তিনিকেতন স্টেশনে থামে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। উত্তরবঙ্গ কিংবা দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে যে সব ট্রেন হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছয়, তাদের যাত্রাপথ যদি বোলপুর হয়ে যায়, তাহলে তা থামে বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনে। কিন্তু কবিগুরুর কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত বিমান যোগাযোগ নেই। তাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে শান্তিনিকেতনে থামানোর দাবিতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন সুকান্ত।

প্রসঙ্গত, বন্দে ভারতের প্রথম যাত্রার দিন নির্ধারিত সাড়ে ৭ ঘণ্টার চেয়েও বেশি লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ নিউ ফরাক্কা, মালদহ স্টেশন ছাড়াও আরও একাধিক স্টেশনে বন্দে ভারতকে দাঁড় করিয়ে নতুন ট্রেনকে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। একই সঙ্গে অনুষ্ঠান চলবে হাওড়া, মালদহ এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। মিনিট খানেকের জন্য বন্দে ভারতকে বরণ করার সুযোগ পেতে পারে ডানকুনি, কামারকুণ্ডুর মতো ছোট স্টেশনও। সেই তালিকায় যদিও নাম নেই বোলপুর-শান্তিনিকেতনের। কিন্তু সুকান্তের দাবি মেনে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন স্টেশনে কি দাঁড়াবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE