প্রতীকী ছবি।
ধাপার মতোই গার্ডেনরিচ ভাগাড়ে বায়ো-মাইনিং পদ্ধতিতে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার প্রাথমিক ধাপও শুরু হয়েছে।
পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, পরিবেশ-বিধির কারণে খোলা জায়গায় আবর্জনা ফেলার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও এতদিন পর্যাপ্ত জায়গা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি না থাকায়, গার্ডেনরিচেরওই ভাগাড়ে খোলা জায়গাতেই আবর্জনা ফেলা হত। কিন্তু সেই আবর্জনা সরিয়ে সংশ্লিষ্ট জমি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিতে সেখানে বায়ো-রেমিডিয়েশন প্রক্রিয়া (যে প্রক্রিয়ায় সজীব বস্তু অর্থাৎ লিভিং অর্গানিজম ব্যবহার করে মাটি, জল বা কোনও এলাকার দূষণ কমানো হয়) চালুর পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘গার্ডেনরিচ ভাগাড়ের জায়গা খুব একটা বেশি নয়। আর ওখানে যা আছে, সবই লেগ্যাসি ওয়েস্ট বা দীর্ঘদিনের স্তূপীকৃত বর্জ্য। সেই বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজ শুরুর ১৫ মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।’’
পুর প্রশাসনের একাংশের অনুমান, গার্ডেনরিচ ভাগাড়ে এক বার স্তূপীকৃত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে তার পরে আর ওখানে আবর্জনা ফেলা হবে না। এমনিতেই ধাপার বিকল্প হিসেবে ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় জমি দেখা শুরু হয়েছে। কারণ, ধাপাতেও সেই একই ‘লেগ্যাসি ওয়েস্ট’-এর সমস্যা রয়েছে। যে কারণে ধাপায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দীর্ঘকালীন ভিত্তিতেও পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভাগাড়ের প্রায় ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন বর্জ্য বায়ো-মাইনিং পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াকরণের কথা চলছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশবিদেরা জানাচ্ছেন, ‘লেগ্যাসি ওয়েস্ট’ বা দীর্ঘদিন ধরে স্তূপীকৃত আবর্জনা ঠিক ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারলে তা থেকে জৈব সার-সহ অনেক কিছুই পাওয়া সম্ভব। ফলে সে দিকেই পুর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy