প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ চালু হওয়ার পর থেকেই গণপরিবহণ সম্পূর্ণ স্তব্ধ। বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব চালকদের মতো বাইক-ট্যাক্সির চালকদেরও রোজগার বন্ধ। অথচ, জরুরি প্রয়োজনে গাড়ির খোঁজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ৬০ জন বাইক-ট্যাক্সির চালককে নিয়ে আপৎকালীন পরিষেবা চালু করেছে ‘কলকাতা সাবার্বান বাইক-ট্যাক্সি অপারেটর্স ইউনিয়ন’।
ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে চারটি ফোন নম্বর (৭৮৯০২৮২১৬৮, ৭০০৩৯৪৫০৪৪, ৮২৪০৯১০৫১৬ এবং ৬২৮৯০৬৩২৯৩) সংবলিত একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। উত্তরে দমদম, পূর্বে নিউ টাউন-রাজারহাট-সল্টলেক, দক্ষিণে সোনারপুর এবং পশ্চিমে বেহালা-জোকা পর্যন্ত দিন-রাত ওই পরিষেবা মিলবে। ফোন করে প্রয়োজনের কথা জানালেই সেই মতো বাইক পৌঁছে যাবে। করোনা পরিস্থিতিতে রোগীদের ওষুধ, খাবার, অক্সিজেন সরবরাহ করা ছাড়াও কারও প্রয়োজনে তাঁকে ব্যাঙ্ক, রেল স্টেশন বা বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিষেধক নিতে যাওয়ার পাওয়া যাবে বাইক-ট্যাক্সি। তবে, সব ক্ষেত্রেই যাত্রীকে উল্লিখিত জরুরি পরিষেবার সপক্ষে নির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে হবে।
উদ্যোক্তাদের দাবি, মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা চালুর কথা পুলিশ ও পুরসভাকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। ওই সংগঠনের তরফে শান্তি ঘোষ জানান, ওষুধ, খাবার বা অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে না। ভাড়া হিসেবে কিলোমিটার-পিছু ৯/১০ টাকা নেওয়া হবে। সব করোনা-বিধি মেনেই ওই পরিষেবা দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘‘জরুরি প্রয়োজন মেটাতেই এই ব্যবস্থা। এর ফলে বাইক-ট্যাক্সি চালকদেরও কিছুটা সুরাহা হবে। তাঁদের অনেকেই প্রবল আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy