Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Cyclone Dana

রানওয়ে জলমুক্ত রাখা নিয়ে সতর্ক বিধাননগর পুরসভা

আধিকারিকেরা জানান, কৈখালির কাছে মালিরবাগান এবং রাজারহাটের দিকে মণ্ডলগাঁতির দিক থেকে রানওয়ের জল নামে। সেই জল হলদিরামের দিক থেকে নিউ টাউন রোড হয়ে বাগজোলা খালে যায়। ফলে, হলদিরাম এলাকা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিধাননগর পুরসভা।

কলকাতা বিমানবন্দর।

কলকাতা বিমানবন্দর। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:২৪
Share: Save:

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই ভারী বৃষ্টির সময়ে এবং বৃষ্টি থামার পরেও কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ে যাতে ডুবে না যায়, তার জন্য জল নামানোর উচ্চ ক্ষমতার পাম্প বসানো হয়েছে।

আধিকারিকেরা জানান, কৈখালির কাছে মালিরবাগান এবং রাজারহাটের দিকে মণ্ডলগাঁতির দিক থেকে রানওয়ের জল নামে। সেই জল হলদিরামের দিক থেকে নিউ টাউন রোড হয়ে বাগজোলা খালে যায়। ফলে, হলদিরাম এলাকা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিধাননগর পুরসভা। কারণ, ওই এলাকায় গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজ চলায় এমনিতেই নিকাশির বেহাল দশা। তার উপরে সেখানে সেনাবাহিনীর একটি শিবির রয়েছে। সেখানকার জলও
হলদিরাম দিয়ে বেরোয়। যে কারণে প্রতি বারই ভারী বৃষ্টিতে হলদিরাম এলাকা জলমগ্ন হয়। তাতে ভিআইপি রোডে যানজট-সহ স্থানীয় জনজীবন ব্যাহত হয়। বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী জানান, সমগ্র পুর এলাকা জুড়ে দেড়শোটির মতো পাম্প প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে পাম্পের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের আবহে রাজারহাটের কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের প্রশাসন জানিয়েছে, মণ্ডপ থেকে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটি পুজোর উদ্যোক্তা কল্যাণ লোধ বলেন, ‘‘মণ্ডপ তৈরির কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। যতটা তৈরি হয়েছে, তা যাতে ভেঙে না পড়ে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোথাও মণ্ডপ ভেঙে পড়লে পুজোর আগে তা নতুন করে তৈরি করা কঠিন হবে।’’

গাছ ভেঙে পড়া-সহ যে কোনও ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ১৪টি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। বুধবার থেকেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বিধাননগর পুরসভায়। আজ, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকেই ফোন নম্বরগুলি চালু হয়ে যাওয়ার কথা। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল খুলে রাখা হবে, যাতে প্রয়োজনে সেই সব জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা যায়। হোর্ডিং নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে সংস্থাগুলিকে।

অন্য দিকে, কালীপুজোর জন্য খ্যাতি রয়েছে বারাসতের। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০টি পুজো হয় সেখানে। সমস্ত জায়গায় মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষের পথে। এমন পরিস্থিতিতেই ঘূর্ণিঝড় আসছে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উপায়
থাকলে যতটা সম্ভব মণ্ডপ খুলে ফেলার। তা না হলে যতটা কাজ হয়েছে, সেই কাঠামো যে কোনও উপায়ে মজবুত রাখা, যাতে হাওয়ার দাপটে ভেঙে পড়ে কোনও বিপদ না ঘটে।’’ এ ছাড়া, বিভিন্ন স্কুলে প্রয়োজনে আশ্রয় শিবির করার কথাও পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE