Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Dengue

Dengue: ডেঙ্গি রুখতে দুই বাহিনীর সমন্বয়ে জোর বিধাননগরে

জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫। পুজোর পরে অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭-তে।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৩৭
Share: Save:

ডেঙ্গি দমনে এ বার র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়ের উপরে জোর দিচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। শুক্রবার পুর ভবনে এক জরুরি বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুরকর্তারা। পুরসভা সূত্রের খবর, ডেঙ্গি রুখতে নয় সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স এবং আট সদস্যের ছ’টি র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে কাজ করবে তারা।

পুরকর্তারা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫। পুজোর পরে অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭-তে। মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে সাত-আট জন আক্রান্ত হচ্ছিলেন। বর্তমানে দিনে তিন-চার জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে বিধাননগরে ডেঙ্গির প্রকোপ সে ভাবে ছিল না। তবে এ বছর মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে। পুরসভার অবশ্য দাবি, সারা বছরই মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ভাবে কাজ করা হয়েছে।

যদিও বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কেষ্টপুর, বাগজোলা এবং ইস্টার্ন ড্রেনেজ় চ্যানেলের মতো খালগুলির সংস্কার না হওয়ার ফলেই এলাকায় মশার এতটা উৎপাত। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, খাল থেকে পলি তোলার পাশাপাশি ওই সমস্ত খাল সাফাইয়ের কাজ করবে রাজ্য নগরোন্নয়ন এবং সেচ দফতর। ইতিমধ্যে সে বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে।

এ বছরে মশার উৎপাত হঠাৎ এতটা বাড়ল কেন?

পুরকর্তাদের বক্তব্য, কিছু দিন আগের লাগাতার বৃষ্টির জেরেই এমন অবস্থা। তার উপরে নাগরিকদের মধ্যেও একটা গা-ছাড়া মনোভাব চলে এসেছিল। অনেকেই বাড়ির যত্রতত্র জল জমিয়ে রাখছিলেন, যা মশার বংশবিস্তারে সহায়ক হয়ে উঠেছিল। সেই সঙ্গে রাস্তায় জঞ্জাল জমানোটাও একটা কারণ।

বাসিন্দাদের অবশ্য পাল্টা যুক্তি, শুধু সচেতনতার অভাব নয়, প্রশাসনিক নজরদারিরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। খালগুলির অবস্থাও তথৈবচ। খালপাড় দখল করে গড়ে উঠেছে বসতি। সেখানে বহু নিকাশি নালা আবর্জনায় নাব্যতা হারিয়েছে।
যত্রতত্র পড়ে থাকে জঞ্জাল। ফলে মশার প্রকোপ যে বাড়বে, তাতে আর অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাসিন্দারা এ-ও বলছেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারির পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরকর্মীদের। তাঁদের যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা, সেটা তাঁরা ঠিক মতো দিচ্ছেন কি? বা সেই
রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি?

বিধাননগর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মশাবাহিত রোগের মোকাবিলায় সারা বছরই কাজ করা হয়। এখন ডেঙ্গির যে প্রকোপ চলছে, তার মোকাবিলাতেও সব রকম
পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ বাসিন্দাদের কাছে নিজেদের বাড়ি পরিষ্কার রাখতে ও যত্রতত্র আবর্জনা বা
জল জমিয়ে না রাখতে আবেদন করেছেন তিনি।

পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় জানান, টাস্ক ফোর্স এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্যেরা প্রতিটি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরকর্মীদের নিয়ে কাজ করবেন। মশার প্রকোপ যেখানে বেশি, সেখানে তার উৎস চিহ্নিত করে মশা মারার কাজে জোর দেওয়া হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Bidhannagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy