বন্ধ: পড়ে সেই স্থায়ী আনাজ বাজার। নিজস্ব চিত্র
ফুটপাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসা অস্থায়ী দোকানদারদের এক ছাদের তলায় আনতে তৈরি হয়েছিল স্থায়ী বাজার। কিছু দিন সেই স্থায়ী বাজারে কেনাকাটাও চলেছিল। তার পর থেকে বন্ধ পড়ে বারুইপুরের শাসন স্টেশন সংলগ্ন এই বাজারের একটি অংশ।
বারুইপুর পুরসভার উদ্যোগে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শাসন স্টেশনের পাশে বছর চারেক আগে তৈরি হয় এই বাজার। এর একটি অংশে মাছ এবং আনাজ বিক্রির জন্য এক ছাদের তলায় প্রায় চল্লিশটি দোকান ঘর তৈরি হয়। মূলত রাস্তায় অস্থায়ী ভাবে বসা মাছ, আনাজ ব্যবসায়ীদের এনে এক ছাদের নীচে বসানোই ছিল লক্ষ্য। পুরসভা সূত্রে খবর, এক দিকে ক্রেতাদের সুবিধা করে দেওয়া। অন্য দিকে, ফুটপাত দখলমুক্ত করে যান চলাচলের গতি বাড়ানোর জন্য এই বাজারের পরিকল্পনা হয়। পাশাপাশি, সেখানে মাছের আড়ত করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু চালু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই বাজার বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
কেন এমন পরিস্থিতি? ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ক্রেতারা আসছিলেন না। অভিযোগ, কিছু ব্যবসায়ীকে স্থায়ী বাজারে পুনর্বাসন দেওয়া হলেও ফুটপাতের বিক্রি পুরো বন্ধ করতে পারেনি পুরসভা। ফলে ওই বাজারে না গিয়ে অনেকেই ফুটপাতে বসা বিক্রেতাদের থেকেই জিনিস কিনে নিচ্ছিলেন। এর ফলে ক্রমাগত লোকসানের জেরে কিছু দিনের মধ্যে স্থায়ী বাজার ছেড়ে ফুটপাতেই ফিরে আসেন ব্যবসায়ীরা।
মাছের আড়ত। নিজস্ব চিত্র
আনাজ ব্যবসায়ী নির্মল বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাজার চালুর পরেও কিছু ব্যবসায়ী ফুটপাতে বসছিল। পুরসভা যদি ফুটপাতে বিক্রি একেবারে বন্ধ করে দিত, তা হলে হয়তো এই বাজারটা চলত।’’ আরও এক ব্যবসায়ী রিনা মণ্ডলের কথায়, ‘‘এ ভাবে রোদে পুড়ে, জলে ভিজে বিক্রি করা থেকে বাজারে বসাই সুবিধাজনক। কিন্তু ওখানে তো বিক্রিই হয় না। ফলে স্থায়ী বাজারে দোকান ভাড়া নিয়েও, ফুটপাতে বসতে হচ্ছে। পুরসভা যদি সব অস্থায়ী দোকান তুলতে পারে, তা হলে আমরা বাজারে যেতে রাজি।’’
স্থানীয় কাউন্সিলর সুভাষ রায়চৌধুরীর কথায়, ‘‘মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই বাজারটি হয়েছিল। কিন্তু ক্রেতার অভাবে বন্ধ আছে। কী ভাবে পরিকল্পনা বদলে বাজার আবার চালু করা যায় তার চিন্তাভাবনা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy