বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।—ফাইল চিত্র।
সর্ষের মধ্যে থেকে ভূত বেরোনোয় ছেদ পড়ছে না!
গাঁজা এবং নগদ টাকা-সহ ধরা পড়লেন বারুইপুর জেলের ওয়ার্ডার বিশ্বজিৎ জানা। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও বন্দিদের বেআইনি সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছিল।
কর্তৃপক্ষের কাছে আগে খবর ছিল, শনিবার রাত ১টা থেকে ৩টে-র মধ্যে মাদক নিয়ে জেলে ঢুকতে পারেন বিশ্বজিৎ। সেই মতো ওত পেতেছিলেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের খবরে ভুল ছিল না, অল্প সময়ের মধ্যে তা বুঝতে পারেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্বজিৎ যখন গভীর রাতে গাঁজা এবং নগদ নিয়ে জেলের অন্দরে ঢুকছিলেন, সেই সময়ে তাঁর দেহ তল্লাশি করেন জেলের পদস্থ আধিকারিকেরা। ছিলেন জেল সুপারও। সেই সময়ে ওয়ার্ডার বিশ্বজিতের কাছ থেকে একশো চল্লিশ গ্রাম গাঁজা এবং আড়াই হাজার টাকা উদ্ধার হয়। জেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই জেল ওয়ার্ডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে মাদক (এনডিপিএস) মামলা শুরু হয়েছে। রবিবার ধৃতকে বারুইপুেরর অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে তোলা হয়। আদালত তাঁকে এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ঘটনাচক্রে তাঁকে বারুইপুর জেলেই রাখা হয়েছে।
কেন গাঁজা এবং নগদ নিয়ে জেলের অন্দরে ঢুকছিলেন বিশ্বজিৎ?
কারা দফতরের আধিকারিকদের ধারণা, গাঁজা ও নগদ টাকা বন্দিদের কাছে পৌঁছে দিতেই জেলে ঢুকছিলেন বিশ্বজিৎ। বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তার পরেই জানা যেতে পারে, কোথায় বা কার কাছে গাঁজা এবং নগদ টাকা যাচ্ছিল।
সম্প্রতি ওই সংশোধনাগারেই মোবাইল এবং দামি ওষুধ নিয়ে প্রবেশের সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন সেখানকার চিফ হেড ওয়ার্ডার সুখেন্দু দাস।
কারা দফতরের আধিকারিকেরা মানছেন, বারুইপুর জেলের দু’টি ঘটনাই ইঙ্গিত করছে যে সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনা রুখতে কারা দফতরও সচেষ্ট। সে কারণে জেলকর্মীরাও তল্লাশি থেকে রেহাই পান না। ঘটনার পরে অভিযুক্তদের সাসপেন্ডও করেছে কারা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy