স্ত্রী অনিন্দিতার সঙ্গে রজত দে।—ফাইল চিত্র।
প্রায় দু’বছর আগে শহরকে বিস্মিত করেছিল নিউ টাউনের বাসিন্দা, আইনজীবী রজত দে-র মৃত্যু রহস্য। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও পরে পুলিশ খুনের তদন্ত শুরু করে। খুনের অভিযোগ গ্রেফতার হন রজতের আইনজীবী-স্ত্রী অনিন্দিতা পাল। আজ, সোমবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করবে বারাসত আদালত।
সত্যিই স্ত্রীর হাতে খুন হয়েছিলেন রজত, নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে অন্য কিছু কারণ রয়েছে, তা রায়দানের পরে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। হাইকোর্টে তাঁর জামিন খারিজ হয়। দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকলেও আপাতত সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত আছেন অনিন্দিতা।
পুলিশ সূত্রের দাবি, এই মামলায় তদন্তের মূল ভিত্তি বৈদ্যুতিন ও মেডিকো-লিগ্যাল সাক্ষ্য প্রমাণ। তাই বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ করে বিধাননগর পুলিশ। রায় বেরোনোর আগে, রবিবার বিভাসবাবু বলেন, “মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের নজরেও ছিল। বিচার প্রক্রিয়াও দ্রুত শেষ করা হয়েছে। যা তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়েছে, তাতে আশা করছি, তদন্তকারীরাই জয়ী হবেন।’’
২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে নিউ টাউনের ডিবি ব্লকের একটি ফ্ল্যাটের ভিতরে রজতের দেহ মেলে। তাঁকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। বিধাননগর পুলিশ তদন্ত শুরু করে ও ওই বছরের ডিসেম্বরের গোড়ায় মৃতের স্ত্রী অনিন্দিতা পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাসত আদালতে মামলা শুরু হয়। ওই মামলার তদন্তে পরতে পরতে রহস্য দেখা যায়। পুলিশ দাবি করে, তদন্তের সময়ে অনিন্দিতার বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছিল। পরে তিনি স্বীকার করেন, মোবাইলের চার্জারের তারের ফাঁস দিয়ে খুন করেন রজতকে। পুলিশের এ-ও দাবি, রজত ও অনিন্দিতার মোবাইলের বিভিন্ন সূত্র তদন্তে বিশেষ কাজে লেগেছিল।
২০১৯ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান অনিন্দিতা। তাঁর আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগ এ দিন জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনও পেয়েছেন তিনি। বিচারব্যবস্থার উপরে আস্থা আছে জানিয়ে চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘আশা করছি সুবিচার মিলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy