Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus Lockdown

সেনা নামতেই গাছ কাটার কাজে গতি বিধাননগরে

শনিবার বিকেল থেকে বিধাননগর উত্তর থানা এলাকায় কাজ শুরু করেন সেনার জওয়ানেরা।

জোরকদমে: পে লোডার দিয়ে গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছে সেনা। রবিবার, সল্টলেকে। নিজস্ব চিত্র

জোরকদমে: পে লোডার দিয়ে গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছে সেনা। রবিবার, সল্টলেকে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২০ ০৩:৩৪
Share: Save:

তিন হাজার গাছের স্তূপে কার্যত অবরুদ্ধ ছিল সল্টলেক থেকে শুরু করে গোটা বিধাননগর পুর এলাকা। একই অবস্থা রাজারহাট গ্রামীণ এলাকারও। স্থানীয় পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতি বিভিন্ন জায়গা থেকে গাছ কেটে রাস্তা উন্মুক্ত করার কাজ করছিল। এ বার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। রবিবার বিকেলের মধ্যে বিধাননগর ও রাজারহাটের একাংশ থেকে গাছ সরানো হয়েছে। এলাকায় পর্যায়ক্রমে ফিরেছে বিদ্যুৎ। ফলে জলের সমস্যাও অনেকটা কমেছে।

শনিবার বিকেল থেকে বিধাননগর উত্তর থানা এলাকায় কাজ শুরু করেন সেনার জওয়ানেরা। কমবেশি ৪৫ জন জওয়ান গাছ কাটার যন্ত্র, জেসিবি নিয়ে কাজ শুরু করেন। রবিবার বিকেলের মধ্যে অফিসপাড়া থেকে শুরু করে কেষ্টপুর খালপাড় এলাকায় পড়ে থাকা অসংখ্য বড় গাছ দ্রুত তাঁরা সরিয়ে ফেলেন। জওয়ানেরা জানান, তাঁরা রাজ্য সরকার ও মানুষের সঙ্গে রয়েছেন। জনজীবন দ্রুত স্বাভাবিক করতে তাঁরা কাজ করছেন। রবিবার বিকেলের মধ্যেই সল্টলেকের মূল রাস্তাগুলি উন্মুক্ত করা হয়েছে।

আমপানের প্রভাবে গোটা বিধাননগর পুর এলাকায় কমবেশি তিন হাজার গাছ পড়েছে। কয়েকশো বাতিস্তম্ভ ভেঙে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর জেরে বিদ্যুতের কেব্‌ল ও টেলিফোন পরিষেবা বহুলাংশে ব্যাহত হয়। বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছিলেন না। সল্টলেকের অফিসপাড়ায় ময়ূখ ভবন, পূর্ত ভবন, উন্নয়ন ভবন, মহকুমা শাসকের অফিস এলাকায় একের পর এক গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়। তার অনেকটাই উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে সল্টলেক ছাড়াও সংযুক্ত এলাকা এবং রাজারহাট-গোপালপুর অংশের বাসিন্দারাও সেনাকে ব্যবহার করার দাবি জানিয়েছেন।

বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত পুরসভা ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে সেনার সহযোগিতা চেয়েছেন। বাসিন্দারা জানান, পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। তা সত্ত্বেও তারা চেষ্টা করেছে। শুরু থেকেই সেনাকে ব্যবহার করলে দুর্ভোগ কমত। তবে সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, শুধু অভিজাত এলাকাকে অগ্রাধিকার দিলে চলবে না। পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। সে দিকেও নজর দেওয়া হোক। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করবেন জওয়ানেরা।

আরও পড়ুন: ধর্মের ভেদাভেদ মুছে দিল দুঃখ দিনের ইদ

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Cyclone Amphan Cyclone
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy