Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
drug case

Drug use: যুবক খুনে কি মাদক চক্রের যোগ, অবরোধ স্থানীয়দের

জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল স্থানীয় এক যুবকের দেহ। রবিবার সকালে, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কোকাপুর অঞ্চলে।

মৃতের বিরুদ্ধেও মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে।

মৃতের বিরুদ্ধেও মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২১ ০৬:০০
Share: Save:

জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল স্থানীয় এক যুবকের দেহ। রবিবার সকালে, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কোকাপুর অঞ্চলে। এ দিন ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়, রাস্তা অবরোধ হয়। অভিযোগ, এলাকায় মাদকের রমরমা কারবার চলছে। মৃতের বিরুদ্ধেও মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশের চেষ্টা সত্ত্বেও কারবার বন্ধ না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তাঁরা।

দত্তপুকুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম (৩৪) ওরফে খোকন। কোকাপুর অঞ্চলের পাঁচঘোড়ায় বাড়ি তাঁর। এ দিন মিলনভাটা এলাকার একটি পুকুর থেকে রফিকুলের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের ক্ষত ছিল। পেশায় গাড়িচালক রফিকুলকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবার এবং প্রতিবেশীদের। পরিজনেদের দাবি, খোকনকে শুক্রবার রাতে কয়েক জন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। মৃতের দিদি আজমিরা বিবি জানান, ওই রাতে খোকন বাড়ি ফেরেননি। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। কাঁদতে কাঁদতে আজমিরা বলেন, ‘‘ভাইকে কেন ওরা মেরে ফেলল? পুলিশ দোষীদের কঠিন সাজা দিক।’’

স্থানীয়দের দাবি, রফিকুলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডান হাতের শিরা কেটে দেওয়া হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে তদন্তকারীদের ধারণা, ‘‘মাদক সেবনের জন্য কোনও চক্রের সঙ্গে যোগাযোগের কারণেই যে খুন হয়েছেন রফিকুল, তা স্পষ্ট নয়।’’ খুনের প্রকৃত কারণ খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।

রফিকুলের দেহ উদ্ধারের পরে কোকাপুর এলাকায় হেরোইন, গাঁজা ও জুয়ার ঠেক চলার প্রতিবাদে রবিবার বারাসত-ব্যারাকপুর রোড ১৬ মিনিটের জন্য অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দশ বছর ধরে মাদকের ব্যবসা-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছে ওই এলাকা। রফিকুল ওই ধরনের কোনও চক্রের হাতেই খুন হয়েছেন বলে দাবি অবরোধকারীদের। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও হেরোইন, গাঁজার ব্যবসা বা জুয়ার ঠেক বন্ধ করা যায়নি। পরে নীলগঞ্জ থানা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আধিকারিকেরা সেখানে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।

বারাসত জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার অবশ্য দাবি, বিভিন্ন সময়ে মাদক পাচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপও করে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

drug case Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy