Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Bishnupur

প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, খতিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ বিডিও-কে

অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিস কার্যত প্রোমোটারের দখলে চলে গিয়েছে। প্রধান ও তাঁর স্বামী মহিউদ্দিন এলাকার নিচু জমি ভরাট করে বিক্রি করছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০২:১৭
Share: Save:

পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ তুললেন বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত চণ্ডী পঞ্চায়েতের কয়েক জন সদস্য। সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধান হাবিবা বিবির স্বামী মহিউদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন সাত জন সদস্য।

যার ভিত্তিতে জেলাশাসকের দফতরের তরফে মহকুমাশাসক (সদর) অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখার জন্য বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের বিডিও-কে নির্দেশ দিয়েছেন।

চণ্ডী পঞ্চায়েতের সদস্যদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিস কার্যত প্রোমোটারের দখলে চলে গিয়েছে। প্রধান ও তাঁর স্বামী মহিউদ্দিন এলাকার নিচু জমি ভরাট করে বিক্রি করছেন। বেআইনি ভাবে সরকারি জমি দখল করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এমনকি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয়দের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে।

আমপান ঝড়ের পরে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ওই সদস্যদের। তাঁদের দাবি, তালিকা জমা দেওয়ার আগে পঞ্চায়েতের কোনও সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ওই তালিকা পঞ্চায়েত সদস্যের কাছেও পেশ করা হয়নি। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় আসল ক্ষতিগ্রস্তদের নাম নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এ সবের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওই সদস্যেরা।

পাল্টা অভিযোগ তুলে মহিউদ্দিনের বক্তব্য, কয়েক বছর ধরে পঞ্চায়েতে কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখল করে বাজার তৈরির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে সব বন্ধ হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল করা হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে হয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতেও মহিউদ্দিন সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে এবং তালিকার নামের বিষয়টি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্যদের জানার কথা। তবে তা কেন হয়নি? এই প্রশ্ন এবং যাবতীয় অভিযোগের উত্তরে পঞ্চায়েত প্রধান হাবিবা বিবি বলেন, “এ সব নিয়ে কোনও কথাই বলব না।” বিষ্ণুপুর-২ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ খতিয়ে দেখে জেলাশাসকের দফতর ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Bishnupur Corruption
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy