Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
Bidhannagar Municipality

ঠকিয়ে জমি নেন সমরেশও, দাবি আদিবাসীদের

বিধাননগর পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবারেও সমরেশের খোঁজে অনেক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। সমরেশ ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও করা হয়েছে।

বিধাননগর পুরসভা।

বিধাননগর পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৮
Share: Save:

সম্প্রতি এক প্রোমোটারকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিধাননগর পুরসভার পুরপ্রতিনিধি সমরেশ চক্রবর্তীর। তবে, ঘটনার পাঁচ দিন পরেও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
বিধাননগর পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবারেও সমরেশের খোঁজে অনেক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। সমরেশ ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও করা হয়েছে। বুধবার উত্তরবঙ্গের চিলাপাতায় সমরেশের রিসর্টেও হানা দিয়েছিল পুলিশ।

ওই ঘটনার পরে চিলাপাতাতেও সমরেশের বিরুদ্ধে ঠকিয়ে জমি নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন সেখানকার আদিবাসীদের একাংশ। চিলাপাতায় যে জমিতে
সমরেশের রিসর্ট, সেই জমি বিক্রি নিয়ে অভিযোগ করেছেন আদিবাসীরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও লিখিত অভিযোগ কেউ করেননি।

আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের উত্তর চকোয়াখেতির বাসিন্দা তপন চিক বড়াইকের অভিযোগ, “আমরা আদিবাসী। আদিবাসী
শংসাপত্রও রয়েছে। কিন্তু ২০১০ সালে আমাদের ভুল বুঝিয়ে ১৭ বিঘা জমি বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়। পরে সেখানে সাড়ে চার থেকে পাঁচ বিঘা জমিতে বিধাননগরের পুরপ্রতিনিধির রিসর্ট তৈরি করা হয়।” তপনের আরও অভিযোগ,
“একাধিক বার অভিযোগ করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আমাদের ভয় দেখানো হয়।”

যদিও ‘চিলাপাতা ইকো-টুরিজ়ম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সভাপতি গণেশকুমার শাহ বলেন, “কেউ কারও জমি জোর করে কিনতে পারে না। ওই জমির ১১ জন মালিক ছিলেন। তাঁরা একত্রিত হয়ে আমার কাছে জমি বিক্রি করেন। তার পরে শিলিগুড়ির একটি সংস্থাকে আমি তা বিক্রি করি। শিলিগুড়ির সংস্থাই সমরেশ চক্রবর্তীকে সেখান থেকে জমি বিক্রি করেছে।” আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক দেবব্রত রায় বলেন, “চিলাপাতার একটি জমি বিক্রি ও তাতে রিসর্ট তৈরি নিয়ে কিছু অভিযোগ কানে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।”

উল্লেখ্য, গত রবিবার কিশোর হালদার নামে এক প্রোমোটার অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর কাছে ৫০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিলেন সমরেশ। ২৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে বাকি টাকা দিতে না পারায় নিজের জমির উপরেই সমরেশের লোকজনের হাতে মার খাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন কিশোর। তাঁর অভিযোগ ছিল, সমরেশের লোকজন রিভলভারের বাট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন।

ওই ঘটনার পরে সমরেশ-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে রমেন মণ্ডল ও শুভেন্দু মণ্ডল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের এ দিন নতুন করে ১১ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বাকি সবাই এখনও অধরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Councillor police complain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy