হাওড়ায় বৃহস্পতিবার ভাঙচুর হওয়া বাস। —ফাইল চিত্র।
ধর্মঘটের দিন বাস না চালানোয় বেপরোয়া ভাঙচুর চালানো হয়েছিল দু’টি রুটের অন্তত ১২টি বাসে। তার প্রতিবাদে এবং ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার থেকে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাস চালানো বন্ধই করে দিলেন মালিক ও কমর্চারীরা। ফলে বন্ধ থাকল কমপক্ষে ৫০টি বাস। যার জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা। এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার কোনা রোড বাসস্ট্যান্ডে।
বৃহস্পতিবার বাম ও বিজেপির ডাকা ধর্মঘটের দিন কোনা রোড বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা কোনা-ধর্মতলা রুটের ১০টি মিনিবাস এবং ৫৭এ রুটের ২টি বাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। উল্টে দেওয়া হয় বাসগুমটি। অভিযোগ, ধর্মঘটে বাস না চালানোয় ওই ভাঙচুর চালান তৃণমূল সমর্থকেরা। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, বাস না চলায় এলাকাবাসীরাই ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর চালান। এ দিন কোনা বাসস্ট্যান্ড বাস সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়, যাঁরা ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁরাই এই ভাঙচুর চালিয়েছেন। সিন্ডিকেটের আরও অভিযোগ, ফের বাস চালালে ভাঙচুর করা হবে বলেও শাসানি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি।
যদিও সিন্ডিকেটের সভাপতি বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যা হয়েছে ঠিক হয়নি। বাসের উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে দেওয়ায় বাসমালিকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাস-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটবে না।’’ বালি জগাছা তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি সুভাষ রায় বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় তৃণমূলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জড়ানো হচ্ছে। কোনা মোড়ে কিছু দুষ্কৃতী ওই ভাঙচুর চালিয়ে দলের বদনাম করছে। বরং আমরাই গিয়ে গোলমাল সামাল দিই।’’
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিন বাস ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আর যাতে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy