প্রতীকী ছবি।
পুরভোটে অতিরিক্ত বাহিনী লাগবে। তাই রবিবার ভোটের জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলি থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে শহরের যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশ বাহিনীর অধিকাংশকে। এর ফলে আজ, শনিবার এবং আগামী কাল রবিবার ছুটির দিন হলেও শহরের রাস্তায় এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন লালবাজারের কর্তারা। সাম্প্রতিক কোনও ভোটে এ ভাবে ট্র্যাফিক গার্ড থেকে বাহিনী তুলে নেওয়া হয়নি বলে পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে। তবে গত বিধানসভা ভোটে ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজে লাগানো হয়েছিল।
লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা শহরে স্বাভাবিক সময়ের ১০ শতাংশ বা তার কম পরিমাণে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকবে ওই দু’দিন। যান নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত সার্জেন্ট কিংবা কনস্টেবলদের শুক্রবারই ভোটের ডিউটিতে চলে যাওয়ার কথা। এর সঙ্গে ট্র্যাফিক হোমগার্ডদেরও ভোটের ডিউটিতে নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে মুষ্টিমেয় কয়েক জন অফিসার ছাড়া ট্র্যাফিক গার্ডে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকছেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। তবে কলকাতা পুলিশের কর্তাদের দাবি, শনিবার কিছু সমস্যা হলেও পরের দিন রবিবার এবং ভোটের দিন হওয়ায় শহরে গাড়ি অনেক কম থাকবে। তাই পুলিশ কম থাকলেও সমস্যা হবে না।
লালবাজারের হিসাব অনুযায়ী, শনিবার বিভিন্ন বুথের নিরাপত্তার জন্য তুলে নেওয়া হবে ট্র্যাফিক পুলিশের ৪০২ জন সার্জেন্টকে। এর সঙ্গে ওই দিনই বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড থেকে ভোটের ডিউটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ২৮২ জন এএসআই, ৮৯৯ জন ট্র্যাফিক কনস্টেবল এবং প্রায় ৬৫০ জন হোমগার্ডকে। এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্তা জানান, রবিবার অর্থাৎ, ভোটগ্রহণের দিনের জন্য বাকি ১৩৮ জন সার্জেন্টকে ভোটের কাজে পাঠানো হবে। তাঁরা মূলত বুথের বাইরে নিরাপত্তা দেখবেন। ওই সব পুলিশকর্মী ভোটের কাজে চলে গেলে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিতে ১০ শতাংশ বা তার কম পুলিশ থাকবেন। তাঁদের দিয়েই শহরের যান নিয়ন্ত্রণ চলবে।
পুলিশের দাবি, ছুটির দিনে যানজটের আশঙ্কা কম থাকবে। কিন্তু বেপরোয়া বা ট্র্যাফিক নিয়ম অমান্যকারী গাড়ির চালকদের সে দিন কী ভাবে ধরা হবে রাস্তায় সার্জেন্ট বা ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী না থাকলে? সূত্রের দাবি, নিয়মভঙ্গকারী গাড়ি ধরতে ওই দিন সিসি ক্যামেরার উপরেই বেশি নির্ভর করা হবে। এ ছাড়া, ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের অনুপস্থিতিতে সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে কাজ চলবে। কিন্তু যাদের শুধুমাত্র অফিসারদের সাহায্য করার কথা, তাঁরা কী ভাবে ওই দিন যান নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা নেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে সব মহলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy