ফাইল চিত্র।
নিউ টাউনের আবাসনে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পঞ্জাবের দুই দুষ্কৃতীর মৃত্যুর পরে নড়ে বসেছে প্রশাসন। সুরক্ষা ব্যবস্থা পোক্ত করতে বৃহস্পতিবার নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে বাসিন্দাদের নিয়ে এক বৈঠক হয়।
তাঁদের কী কী করণীয়, সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে সেখানে। ঠিক হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে থানা থেকে আবাসিক সমিতিগুলির সঙ্গে বৈঠক করা হবে। ১৫ দিন অন্তর ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক রিভিউ মিটিং করবেন। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়, এডিজি (এসটিএফ) বিনীত গোয়েল, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার, হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন। সুরক্ষা নিয়ে কী করা যায়, তাই নিয়ে নানা প্রস্তাব বৈঠক থেকে উঠে আসে। যেমন, বাড়িওয়ালা, ভাড়াটে, আবাসন বা ব্লক সম্পর্কে কোনও অ্যাপ তৈরির কথা, মহিলাদের জন্যে হেল্পলাইন চালু করার কথা।
পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ব্লক বা আবাসন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাদের জানাতে হবে। বাড়ি ভাড়া দিলে দালাল, ভাড়াটে সম্পর্কে তথ্য পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট আবাসিক সমিতিকে দিতে হবে। সেই তথ্য যাচাই করবে পুলিশ। আবাসিক সমিতিকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেবেন ভাড়াটে। তা সমিতির অফিসে থাকবে। আবাসিক সমিতিও ভাড়াটেদের পরিচিতিপত্র দেবে। বাইরের কেউ এলে, প্রবেশপথে সেই তথ্য রাখতে হবে। আবাসনে প্রবেশ ও বেরোনোর গেটে ক্যামেরা রাখতে হবে। ফুটেজ ন্যূনতম ৩০ দিন সংরক্ষণ করতে হবে।
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন ‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনের একাধিক বাসিন্দা। তাঁদের এক জন মৈনাক কাঁড়ার জানান, প্রশাসন তাঁদের নির্দেশ ও পরামর্শ জানিয়েছেন। এই ধরনের বৈঠক প্রতি বছর করা জরুরি। তাঁর দাবি, “বৈঠকে বাসিন্দাদের মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়াও প্রয়োজন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy