প্রতীকী ছবি।
চলন্ত মেট্রোর সামনে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে এক তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টার জেরে দিনের ব্যস্ত সময়ে ব্যাহত হল পরিষেবা।
বৃহস্পতিবার সকালে নাকতলা সংলগ্ন গীতাঞ্জলি স্টেশনের এই ঘটনায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। কবি সুভাষ থেকে নেতাজি পর্যন্ত সব ক’টি স্টেশনে প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ ফের স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কবি সুভাষমুখী একটি এসি রেক গীতাঞ্জলি স্টেশনে ঢোকার মুখে আচমকাই লাইনে ঝাঁপ দেন বছর পঁচিশের ওই তরুণী। চালক সঙ্গে সঙ্গে আপৎকালীন ব্রেক কষলেও একটি কামরা ওই তরুণীর উপর দিয়ে চলে যায়। যাত্রীদের নামিয়ে মেট্রোকর্মীরা উদ্ধারের কাজে নামেন। তরুণীকে জীবিত দেখে ট্রেন আর নড়ানোর চেষ্টা করেননি মেট্রোকর্মীরা। থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে নীচে নামেন তাঁদের তিন জন। কামরার নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। পরে থানার অফিসার ইন-চার্জের ব্যবস্থাপনায় ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে ১১ মিনিটের মধ্যে ওই তরুণীকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুই লাইনের মাঝের নর্দমায় পড়ায় প্রাণে বেঁচে গেলেও ওই তরুণী মাথায় এবং বুকে আঘাত পেয়েছেন বলে খবর। মাথায় সেলাই পড়লেও সিটি স্ক্যানে অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি। চিকিৎসকেরা কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে দুপুরের পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন ওই তরুণীকে। আদতে বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা হলেও নরেন্দ্রপুর সংলগ্ন রামকৃষ্ণপল্লিতে ওই তরুণী তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। কাজ করেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। কেন তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy