—প্রতীকী ছবি।
টালিনালা থেকে কিশোরীর দেহ মেলার দু’দিন আগে গভীর রাতে এক বান্ধবী ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তাকে। দিন চারেক পরে থানায় কিশোরীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। রিজেন্ট পার্কে টালিনালা থেকে এক কিশোরীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই দাবি মৃতার মায়ের। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক নাবালককে আটক করা হয়েছে। এ দিন জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত তাকে সরকারি হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
২৩ জুলাই রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার টালিনালা থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের সাত দিন পরে মৃত কিশোরীর পরিচয় সামনে আসে। বছর সতেরোর ওই কিশোরীর বাড়ি সরশুনা থানা এলাকায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তাকে নেশার জিনিস খাইয়ে শ্বাসরোধ করে বস্তায় ভরে জলে ফেলে দেওয়া হয়। ডুবে মৃত্যু হয় কিশোরীর।
এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে মনে করছে লালবাজার। দেহ টালিনালায় ফেলার আগে অভিযুক্তেরা হরিদেবপুরের এমজি রোড-সহ একাধিক রাস্তায় ঘুরেছিল বলে তদন্তে উঠে আসছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে যে নাবালক উপস্থিত ছিল, তাকে আটক করা হয়েছে। সঙ্গে ছিল কিশোরীর বন্ধু, মূল অভিযুক্ত যুবক। তারও খোঁজ চলছে।
কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, পদ্মপুকুরে বছর উনিশের এক বন্ধুর বাড়িতে গত চার বছর ধরে থাকছিল সে। মাঝেমধ্যে নিজের বাড়ি আসত। ২১ জুলাই রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ কিশোরীর এক বান্ধবী তাকে বাড়িতে ডাকতে আসে। পরিবার জানিয়েছে, বাড়ি না ফেরায় তাকে ফোন করা হলেও উত্তর আসেনি। চার দিন পরে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। সোমবার কিশোরীর পরিজনদের থানায় ডাকা হলে দেহ শনাক্ত করেন তাঁরা।
মেয়ের বান্ধবীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার মা। আপাতত বান্ধবী ও তার পরিবারকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্ত করা হচ্ছে অন্য দু’জনের ভূমিকা নিয়েও। জানা গিয়েছে, কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে আনতে তার বান্ধবীকে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিশোরীকে তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করিয়ে সেই বান্ধবী ফিরে যায়। সঙ্গে আনা গাড়িতে পরে ওই বন্ধু তুলে নেয় তার পরিচিত নাবালককে।
জানা গিয়েছে, টালিগঞ্জের করুণাময়ীর কাছে কিশোরীর শ্বাসরোধ করে যুবক ও নাবালক। কিশোরী সংজ্ঞাহীন হলে তার মৃত্যু হয়েছে মনে করে বস্তায় ভরে টালিনালায় ফেলে দেয় দু’জন। তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘এই ঘটনায় একাধিক জন জড়িত। খোঁজ চলছে কিশোরীর বন্ধুর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy