চার্জশিট পেশ নির্দিষ্ট সময়ে (৬০ দিনে) না করতে পারার যুক্তিতে সোমবার বিধাননগর আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন সল্টলেকের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই যুক্তিতে কাউন্সিলরের দুই সঙ্গীর জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত। কারণ, তাঁদের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের সময় পার হয়নি।
তোলাবাজি ও হুমকির ঘটনায় ধৃত অনিন্দ্যর দুই সঙ্গী সিন্ধু কুণ্ডু এবং মহম্মদ নাসিমকে মঙ্গলবার বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। এ দিন ওই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে হাজিরা দিয়েছিলেন অনিন্দ্যও। সিন্ধু ও নাসিমের আইনজীবীরা জানান, এখনও চার্জশিট পেশ করতে পারেনি পুলিশ। তাই অনিন্দ্যর মতো তাঁদেরও জামিন মঞ্জুর করা হোক।
সরকারি আইনজীবী জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে জানান, সময়ের মধ্যে চার্জশিট দিতে না পারার যুক্তি ওই দুই অভিযুক্তের ক্ষেত্রে খাটে না। কেননা, তাঁদের ক্ষেত্রে সময় পার হয়নি। পুলিশ কর্তারাও সোমবার জানিয়েছিলেন, তদন্ত শেষ হয়নি। বেশ কয়েক জনের নাম অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের খোঁজ চলছে। সে কারণেই চার্জশিট পেশ করা যায়নি। তদন্ত শেষের পরেই চার্জশিট দেওয়া হবে। এ দিনও পুলিশ সেই বক্তব্যে অনড় ছিল। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পরে বিচারক শুভ্রসোম ঘোষাল সিন্ধু ও নাসিমের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
অনিন্দ্যের জামিন প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান মঙ্গলবার বলেন, ‘‘যে ভাবে অনিন্দ্য জামিন পেয়েছে, তাতে প্রমাণিত দিদির রাজ্যে তোলাবাজি শিল্পের কোনও বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ওঁকে (অনিন্দ্য) গ্রেফতার করাতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি অনিন্দ্যকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সময় সুযোগ তো তাঁকে অবলীলায় মুক্তি দেওয়া হবে।
সেটাই হয়েছে।’’
অভিযুক্তদের আইনজীবী রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আজ শুনানিতে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ৬০ দিন পার না হওয়ায় আদালত জামিন মঞ্জুর করেনি।’’ এক ব্যবসায়ীকে হুমকি ও তোলাবাজির অভিযোগে জুলাইয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে। তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy