Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
crime

নবজাতককে বিক্রি, ধৃত বাবা-সহ ২

বারুইপুর থানা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাইল্ড লাইন সূত্রের খবর, বারুইপুরের বাসিন্দা, পেশায় রাজমিস্ত্রি জাকির ৫০ হাজার টাকায় সম্প্রতি সন্তান বিক্রি করেছিলেন বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০ ০২:৩৬
Share: Save:

সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগে বারুইপুরের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হল। ধরা হয়েছে ওই ঘটনায় যুক্ত আরও এক জনকে, যিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শেখ জাকির ওরফে কালো শেখ এবং শেখ চুন্না। জাকির শিশুটির বাবা। তবে সদ্যোজাতকে কিনে নেওয়ায় অভিযুক্ত তিলজলার বাসিন্দা, জয়নগরের স্কুলশিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীর নাগাল পায়নি পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
বারুইপুর থানা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাইল্ড লাইন সূত্রের খবর, বারুইপুরের বাসিন্দা, পেশায় রাজমিস্ত্রি জাকির ৫০ হাজার টাকায় সম্প্রতি সন্তান বিক্রি করেছিলেন বলে অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা চাইল্ডলাইনের কোঅর্ডিনেটর অভিজিৎ বসু জানান, চলতি মাসে খবর আসে, ওই ব্যক্তি সন্তানকে তিলজলার এক দম্পতির কাছে বিক্রি করেছেন। মধ্যস্থকারী হিসেবে কালোর প্রতিবেশী শেখ চুন্না ও তাঁর স্ত্রী গুলশনের নাম সামনে আসে। গুলশন ওই দম্পতির ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করেন। অভিজিৎ জানান, জাকির ও তাঁর স্ত্রীর দু’টি সন্তান ছিল। গুলশন জানতে পারেন, তাঁরা তৃতীয় সন্তান চাইছেন না। সেই কথা ওই দম্পতিকে জানালে সন্তান বিক্রির প্রস্তাব যায়। অভিজিৎ জানান, বাঘা যতীনের নার্সিংহোমে কালোর স্ত্রী ছেলের জন্ম দেন। সন্তান হস্তান্তরের কথা ‘কোর্ট পেপারে’ লেখা থাকলেও টাকার উল্লেখ ছিল না।
কিছু দিন পরে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা জাকিরদের কাছে সদ্যোজাতের সম্পর্কে জানতে চেয়ে উত্তর না মেলায় খবর যায় চাইল্ডলাইনে। সেখান থেকে পুলিশে খবর পৌঁছয়। অভিজিৎ-সহ সংস্থার দুই প্রতিনিধিকে নিয়ে সম্প্রতি জাকিরের বাড়ি গিয়ে পুলিশ জেরা করতে আসল ঘটনা জানা যায়। পুলিশ বারুইপুর থানায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ধরা হয় জাকির ও চুন্নাকে।
বারুইপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যে দম্পতি শিশুটিকে কিনেছিলেন, তাঁদের খোঁজ চলছে।’’ অভিজিৎ বলেন, ‘‘শনিবার বারুইপুর থানায় ওই দম্পতিকে ডাকা হলেও তাঁরা আসেননি। শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন ওই শিক্ষকের শ্বশুর-শাশুড়ি। পুলিশের সামনে শিশুটিকে চাইল্ডলাইনের হাতে দেওয়া হয়। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশে পরদিন তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।’’ বারুইপুর জেলা পুলিশের সুপার কামনাশিস সেন বলেন, “এমন ঘটনা রুখতে বিভিন্ন স্তরে কাজ করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে নিয়ে সচেতনতার প্রসারে কাজও হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Baruipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy