বাড়িতে ঢুকে এক আলোকচিত্রীকে ছুরি মেরে জখম করার অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করলেও, ওই ঘটনায় জড়িত আরও দুই দুষ্কৃতীকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার রাতে যোধপুর পার্কের বাসিন্দা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে ওই আলোকচিত্রীকে তাঁর নিজের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। তাদের হামলায় জখম হন অভিজিৎবাবুর স্ত্রী জয়শ্রীদেবীও। অভিজিৎবাবু স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি। জয়শ্রীদেবীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সৌম্য সরকার ও টোটন লস্কর। বাড়ি ডায়মন্ড হারবার ও মগরাহাটে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত দেয়। ওই ব্যক্তিকে ছুরি মারার কারণ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে জানতে পারেনি পুলিশ। টাকার লেনদেন নিয়ে কোনও গোলমালের জেরে ওই ঘটনা কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ জানায়, যোধপুর পার্কে একটি ফ্ল্যাটের তিনতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন অভিজিৎবাবু। চারতলায় তাঁর স্টুডিও রয়েছে। সিনেমা, সিরিয়াল, মডেলিংয়ের উঠতি ছেলেমেয়েদের ছবি তোলার কাজও করেন তিনি। বিভিন্ন মডেলদের ছবি তোলা এবং প্রকাশনার বিনিময়ে তাঁদের টাকাও দিতেন তিনি। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা সৌম্য বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অভিজিৎবাবুর স্টুডিওয় ঢোকে। তার সঙ্গে টোটন-সহ তিন যুবক ছিল। মডেলিংয়ের জন্য অভিজিৎবাবুকে ছবি তুলে দিতে বলে সৌম্য। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি ক্যামেরা বার করে ছবি তুলতে গেলে টোটনরা পিছন থেকে তাঁর গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে। সৌম্য অভিজিৎবাবুর মুখে, বুকে এলোপাথাড়ি ছুরি চালায়। চিৎকার শুনে তিনতলা থেকে ছুটে আসেন স্ত্রী ও মেয়ে।
অভিজিৎবাবুর মেয়ে ইন্দ্রাণী পুলিশকে জানায়, জয়শ্রীদেবীর মুখ চেপে ধরে তাকে ফ্ল্যাটের সিঁড়ি থেকে নীচে ফেলে দেয় তিন জন। মা-মেয়ের চিৎকারে চার যুবক সিঁড়ি দিয়ে নেমে পালাতে গেলে টোটন পাড়ার লোকজনের হাতে ধরা পড়ে যায়। সৌম্য সিঁড়ির তলায় লুকিয়ে ছিল। পরে তাকেও ধরা হয়। বাকি দু’জন পালায়। স্থানীয়েরা সৌম্য ও টোটনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy