ফুলবাগানের যুবক যোগিন্দর দাস ওরফে পিলু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল এক কিশোর। বৃহস্পতিবার পিলুর তিন পরিচিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে এক কিশোরের ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ব্যান্ডেজ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাকে জেরা করতেই কিনারা হল ওই খুনের। এর পরেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। নাবালক হওয়ায় তাকে জুভেনাইল আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার হাতের আঙুলের ক্ষতের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
কি ঘটেছিল? পুলিশ জানিয়েছে, পিলু এবং ওই কিশোর ছোটবেলা থেকেই একে অপরকে চিনত। কিন্তু সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে বিভিন্ন কারণে মনোমালিন্য হয়। দু’জনেই পরস্পরের পারিবারিক বিষয়ে অশ্লীল কথা বলত এবং বচসায় জড়িয়ে পড়ত বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের লোকজন বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাদের বিবাদ থামেনি বলে অভিযোগ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বর্তমানে কর্মসূত্রে সল্টলেকে থাকলেও ফুলবাগানের পুরনো পাড়ায় মাঝেমধ্যেই চলে আসত পিলু। বুধবার রাতেও সে ফুলবাগানে এসেছিল। জেরায় ওই কিশোর জানায়, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ নিজের অন্য দুই বন্ধুকে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে ফিরছিল সে। তখন উল্টোদিক থেকে আসছিল পিলুও। অভিযোগ, দেখা হতেই দু’জনের মধ্যে ফের বচসা বাধে। সেই সময়ে উত্তেজিত হয়ে ওই কিশোর রাস্তায় পড়ে থাকা ইট দিয়ে পিলুকে মারে। আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পরেও ওই কিশোরকে ফের কটূক্তি করে পিলু। তখন ওই কিশোর পিলুকে বারবার ইট দিয়ে মারতে থাকে। এর পরে রাস্তায় পড়ে থাকা টিনের পাত দিয়ে পিলুর গলা কেটে উপুড় করে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন নেশা করেছিল বলে জানায় ওই কিশোর।
বৃহস্পতিবার সকালে ফুলবাগানের উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি রোডে দেহটি উদ্ধারের পরই পুলিশের সন্দেহ হয়, পরিচিত কেউই এই খুনে জড়িত। পিলুর পকেট থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি আঠার টিউব। ওই টিউব নিয়ে পিলু এবং ওই কিশোর বন্ধুদের সঙ্গে নেশা করত। এর পরেই পিলুর পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy