তিনটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা
এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। শনিবার, রিজেন্ট পার্কে। মৃতের নাম সরোজ দত্ত (৩৮)। পুলিশ জানায়, বন্ধ ঘর থেকে তাঁর সাড়া না মেলায় পুলিশে জানান পরিজনেরা। পুলিশ দরজা ভেঙে দেহটি উদ্ধার করে। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জেনেছে, বছর দুই আগে একটি দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি অসুস্থ ছিলেন। পুলিশের অনুমান, অবসাদ থেকেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিনই কালীঘাট রোড থেকে রবি সর্দার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ মিলল। পুলিশ জানায়, রবির বাড়ির সামনে একটি আবাসনের ফাঁকা পড়ে থাকা এক তলায় তাঁর দেহটি দেখেন আবাসনের বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। অন্য দিকে, শুক্রবার রাতে কসবা থানার গিরীন্দ্রশেখর বোস রোড থেকেও এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃত প্রশান্ত দাস (৩৭) পেশায় ট্যাক্সিচালক। পুলিশ জানায়, পরিজনেরা বন্ধ ঘর থেকে তাঁর সাড়া না পেয়ে পুলিশে জানান। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা।
বাড়িতে ফিরলেন তাপস
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিলেন, আপাতত বাইরে বেরোতে পারবেন না তিনি। বাড়িতেই পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হবে। ফলে দিল্লিতে সংসদের চলতি অধিবেশনে এখনই যোগ দিতে পারছেন না অভিনেতা-সাংসদ। পিঠে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ ও জ্বর নিয়ে গত ৬ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার এক নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এক জনসভায় তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সেই সময় দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য সংসদের অধিবেশনেও যেতে পারেননি। জেনারেল মেডিসিন তথা কার্ডিওলজির চিকিৎসক শুদ্ধকল্যাণ পাল তাঁকে দেখছিলেন। এ দিন শুদ্ধকল্যাণবাবু বলেন, “ওঁর রক্তচাপ এখন ১৩০/৮০। জ্বর নেই। তাই ওঁকে বাড়িতে ছেড়েছি। কিন্তু কোমরের ব্যথা ঠিক হয়নি। ডিস্ক-এ সমস্যা আছে। প্রেসক্রিপশনে লিখে দিয়েছি, আপাতত বাড়ি থেকে বার হওয়া বন্ধ।” তা হলে কি উনি এখন দিল্লিতে অধিবেশনে যোগ দিতে যেতে পারবেন না? শুদ্ধকল্যাণবাবুর উত্তর, “আপাতত এক সপ্তাহ বিশ্রাম। তার পর ওঁকে পরীক্ষা করে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
লকআপে নাবালক, পুলিশকে দুষল কোর্ট
গ্রেফতারের সময়ে অভিযুক্তের বয়স ভাল করে খতিয়ে না দেখা নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ। সঠিক বয়স না জেনে এক নাবালককে কেন থানার লক আপে সাত দিন আটকে রাখা হল তা নিয়ে পুলিশকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারক। ৩ জুলাই ডাকাতির ঘটনায় এক নাবালককে গ্রেফতার করে চিৎপুর থানার পুলিশ। ৪ জুলাই তাকে শিয়ালদহ কোর্টে হাজির করা হলে বিচারক ১৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দেন। গত শুক্রবার ওই কিশোরের মা কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর) বাস্তব বৈদ্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে নাবালক। তা-ও তাকে লকআপে রাখা হয়েছে, মারধরও করা হয়েছে। ছেলের জন্মের সার্টিফিকেটও জমা দেন তিনি। লালবাজার থেকে জানানো হয়, সার্টিফিকেট অনুসারে অভিযুক্ত নাবালক। তাকে লকআপে আটকে রাখা যায় না। তাই তাকে শনিবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করা হবে। কিন্তু এ দিন জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড বন্ধ থাকায় অভিযুক্তকে শিয়ালদহ কোর্টে হাজির করা হয়। তখনই বিচারক পুলিশকে প্রশ্ন করে নাবালক হওয়া সত্ত্বেও কেন তাকে এত দিন লকআপে রাখা হল। আদালত সূত্রে খবর, পুলিশ জানায়, ওই কিশোর নিজের বয়স ১৮ বলে জানিয়েছিল। তাও পুলিশ নিজে থেকে অভিযুক্তের প্রকৃত বয়স জানার চেষ্টা করেনি কেন, তা নিয়ে পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। এ দিন আদালতে ওই কিশোরকে হোমে রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবীর আবেদন অনুসারে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। সোমবার অভিযুক্তকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করানো হবে। থানার লকআপে ওই কিশোরকে মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতে তার ডাক্তারি পরীক্ষারও নির্দেশ দেন বিচারক।
দফতর থেকে ভুয়ো আয়কর অফিসার ধৃত
ধর্মতলার আয়কর দফতর থেকেই গ্রেফতার করা হল ভুয়ো অফিসারকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রদীপ মণ্ডলের বাড়ি বাঘাযতীনে। তিনি নিজেকে আয়কর অফিসার পরিচয় দিয়ে বিমলেন্দুবিকাশ দে নামে বাঁশদ্রোণীর এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। শনিবার প্রদীপকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বিমলেন্দুবিকাশকে আয়কর দফতরে গাড়ি সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের টেন্ডার জমা দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন প্রদীপ। এর বিনিময়ে প্রদীপ তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ২২ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ। পরে আর এক আয়কর অফিসারের কাছ থেকে টেন্ডারের ঘটনাটি ভুয়ো বলে জানতে পারেন বিমলেন্দুবাবু। এর পরে আয়কর ভবনে প্রদীপকে ডেকে পাঠান তিনি। শুক্রবার দুপুরে প্রদীপ এলে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, আয়কর দফতরের ওয়েবসাইট থেকে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ও গাড়ি বিভাগের দুটি পুরনো ফর্ম বার করে রেখেছিলেন প্রদীপ। আয়কর দফতরের কিছু জাল সিলও তৈরি করিয়েছিলেন।
৭০০ লিটার স্পিরিট আটক
প্রায় ৭০০ লিটার রেকটিফায়েড স্পিরিট আটক করল আবগারি দফতর। শনিবার, মুচিপাড়া থানার শশিভূষণ দে স্ট্রিটে একটি বাড়ির একতলার গুদাম থেকে। এই স্পিরিট জাল ও চোলাই মদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বলে আবগারি দফতর সূত্রে খবর। সেই কারণেই এই স্পিরিট আনা হয় বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পিরিট রাখার প্রয়োজনীয় কাগজ মেলেনি। এ দিন রাত পর্যন্ত গুদামের মালিককেও ধরা যায়নি।
মিলল পচাগলা দেহ
হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। শনিবার নিউ মার্কেট থানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম এল নারায়ণন রাও (৬৫)। বাড়ি দক্ষিণ ভারতের মহীশূরে। পুলিশ জানায়, ১৯ জুন থেকে তিনি হোটেলের একটি ঘরে একা থাকতেন। শনিবার ওই দুর্গন্ধ পেয়ে হোটেল মালিক দলবীর সিংহ থানায় জানান। পুলিশ দরজা ভেঙে শৌচালয় থেকে দেহটি উদ্ধার করে। দলবীর জানান, ওই ব্যক্তি রোজ সকালে বেরিয়ে রাত দশটা নাগাদ ঘরে ফিরতেন। বৃহস্পতিবারের পর থেকে তিনি আর বেরোননি। পুলিশের অনুমান, হৃদ্রোগের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়।
চোলাই-সহ ধৃত
চোলাই মদ-সহ এক যুবক গ্রেফতার হয়েছে। শুক্রবার রাতে, দক্ষিণ বন্দর থানার সোনাডিঙি রোড থেকে। পুলিশ জানায়, কার্ল মার্কস সরণির বাসিন্দা উমেশ মাহাতো নামে ওই যুবকের কাছে মিলেছে ৬০০ মিলিলিটারের ২৮টি চোলাই মদের বোতল।
কে কার পিছনে: শেষ হাসি কার অপেক্ষায়, তা জানতে রবিবার শেষ রাত। শহরের কচিকাঁচারা
কিন্তু দু’দলে ভাগ। চলছে নারদ-নারদ। শনিবার, উত্তর কলকাতায়। ছবি: সুমন বল্লভ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy