ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকা দিল্লি। ফাইল চিত্র।
দূষণে দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লিতে। রবিবারেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতির লক্ষণ দেখা যায়নি। বাতাসের গুণগত মানের সূচক (একিউআই) কখনও ‘ভয়ানক’, কখনও আবার ‘অত্যন্ত খারাপ’, এই পর্যায়ের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। তার সঙ্গে ধোঁয়াশা তো আছেই। রবিবার সকালেও ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজধানী। দৃশ্যমানতাও নেমেছে অনেক।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর তথ্য বলছে, রবিবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৩৬৬ (অত্যন্ত খারাপ)। তবে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় বাতাসের গুণগত মান ৪০০-র ( অতি ভয়ানক) উপরে রয়েছে। ফলে মোটের উপর দিল্লিতে দূষণের ছবির কোনও রকম হেরফের হয়নি গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ (গ্র্যাপ) চালু হওয়ার পরেও।
সিপিসিবি-র তথ্য বলছে, নয়াদিল্লি রেলস্টেশনের আশপাশের এলাকায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৩২৮, চাঁদনি চওকে ৩৪৯। তবে আনন্দ বিহারে ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে একিউআই। সেখানে একিউআই ৪৭৩। রাজধানীর এয়ার কোয়ালিটি আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম-এর পূর্বাভাস, রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীর বাতাসের গুণগত মানের সূচক থাকবে ‘অত্যন্ত খারাপ’। ফলে এখনই দূষণের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না। আর তাতেই উদ্বেগ এবং চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মানের সূচক যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তা হলে তা ‘ভাল’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ অত্যন্ত খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক।
দূষণের দিক থেকে দিল্লির পরই রয়েছে পটনা এবং চণ্ডীগড়। পটনায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ২৯৫ এবং চণ্ডীগড়ে ২৪২ (খারাপ)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভুবনেশ্বর (২১৮), পঞ্চম স্থানে কলকাতা (২১৯)। তবে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং চেন্নাইয়ের বাতাসের গুণগত মান ‘সামান্য খারাপ’। সবচেয়ে ভাল অবস্থা কর্নাটকের চামরাজনগরের। তার পরই রয়েছে মিজ়োরামের রাজধানী আইজ়ল, কেরলের তিরুঅনন্তপুরম এবং অসমের গুয়াহাটি।
সিপিসিবি-র তথ্য বলছে, রবিবার কলকাতা এবং হাওড়া এই দুই শহরের বাতাসের গুণগত মানের সূচক ‘খারাপ’ এবং ‘অত্যন্ত খারাপ’ পর্যায়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মানের সূচক ‘খারাপ’ ছিল কলকাতার বালিগঞ্জে (২৬৯) বিধাননগরে (২১৩), ফোর্ট উইলিয়ামে (২৬০) ও ভিক্টোরিয়া (২৩৩) এবং ‘সামান্য খারাপ’ ছিল যাদবপুরে (১৭৬) ও রবীন্দ্র সরোবরে (১৯০) ।
অন্য দিকে, হাওড়ার দাসনগরে (৩২১) ও ঘুসুড়িতে ছিল (৩৩৮) অত্যন্ত খারাপ এবং বেলুড় মঠে ২৪৪ (খারাপ)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy