নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন সচ্চিদানন্দ, তনিমা এবং ও রতন। শুক্রবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন রতন গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শনিবারই কলকাতা পুরসভা ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন রতন মালাকার। কিন্তু কী করবেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তনিমা চট্টোপাধ্যায়? তৃণমূল সূত্রে খবর, এঁদের দু’জনের সঙ্গেই আলোচনা জারি রয়েছে। তবে সেই আলোচনার চূড়ান্ত ফল কী, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে শনিবার পর্যন্ত।
এই ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিধানসভা ভবানীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭২ এবং ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে যথাক্রমে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন সচ্চিদানন্দ এবং রতন। পাশাপাশি, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভগ্নি তনিমাও নির্দল প্রার্থী হয়েছেন বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে। শেষ দিনের অপেক্ষায় না থেকে শুক্রবারই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন রতন। ২০ বছর তৃণমূলের কাউন্সিলর তিনি। টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে রতনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অভিষেক। সেখানেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেন রতন। দলীয় সূত্রে খবর, বাকি দু’জনের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে তৃণমূল।
সচ্চিদানন্দের সঙ্গে যেমন কথা বলেছেন ফিরহাদ হাকিম এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতা। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেই বৈঠক বিশেষ ফলপ্রসূ হয়নি। সচ্চিদানন্দের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, তিনি এখনও মনোনয়ন প্রত্যাহারে রাজি হননি। একই অবস্থান তনিমারও। তবে এখনও গোটা শুক্রবার রাত এবং শনিবার বিকেল পর্যন্ত সময় রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, ওই দুই নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন ত়ৃণমূল নেতৃত্ব।
আবার দলের তরফে ‘কড়া বার্তাও’ দেওয়া হয়েছে নির্দল প্রার্থীদের। দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘৪ তারিখ (শনিবার) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাববে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy