ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায় মেনে দ্রুত কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দূষণ বন্ধের পরিকাঠামো গড়া হবে। শুক্রবার বিদ্যুৎ ভবনে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উৎপাদন বন্ধ না করেই এই কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সালফার-নাইট্রোজেন গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত দূষণ প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। দূষণ নিয়ন্ত্রণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতের রায় পর্যালোচনার পরে এ দিন বিদ্যুৎ ভবনে বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান পি বি সেলিম।
বৈঠকে গড়া হয়েছে পাঁচ সদস্যের ‘স্টাডি গ্রুপ’। বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে গঠিত ওই কমিটি খতিয়ে দেখবে কী ভাবে উৎপাদন বন্ধ না করে সংস্কারের কাজ চালানো যায়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম সূত্রের খবর, এই গ্রুপের সদস্যরা শীঘ্রই রিপোর্ট জমা দেবেন। তা পাঠানো হবে অর্থ দফতরে। অর্থ বরাদ্দ হলেই শুরু হবে কাজ। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সালফার-নাইট্রোজেন গ্যাসের দূষণ বন্ধ করতে আনুমানিক এক হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়েছে বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম সূত্রের খবর। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব এ দিন বলেন, ‘‘আমরা উৎপাদন চালু রেখেই কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংস্কারের কাজ করব। আশা করছি আদালত ২০২২ সালের ডিসেম্বরের যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই কাজ করতে গিয়ে এতটুকুও সময় নষ্ট করতে রাজি নই।’’
১৯৮৪ সালে তিনটি ইউনিট নিয়ে চালু হয়েছিল এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরে আরও তিনটি ইউনিট হয়। কিন্তু বিদ্যুতের চাহিদা না থাকায় গত কয়েক বছর ধরে চালু রয়েছে একটি মাত্র ইউনিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy