গোপন ডেরায় জীবন সিংহ। নিজস্ব চিত্র
সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারিতেই কেএলও-র সঙ্গে কেন্দ্রের শান্তিচুক্তি সই হবে, দাবি করলেন কেএলও সভাপতি জীবন সিংহের ধর্মপুত্র দিবাকর দেবরাজ সিংহ।
তবে কি অসমে থাকা কোচ সংগঠনগুলি ও পশ্চিমবঙ্গের কোচ সংগঠনগুলির মতানৈক্য ঘুচল? প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে রবিবার ২৩ জানুয়ারি। সে দিন উত্তর গুয়াহাটিতে কোচ-রাজবংশীদের সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে।
কেএলও-র সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে প্রথম বার দুই রাজ্যের কেএলও নেতারা ও বিভিন্ন কোচ-রাজবংশী সংগঠন সাধারণ সভায় মিলিত হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে শান্তি আলোচনার শুরু করার জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে ভার দেওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গে থাকা আত্মসমর্পণ করা কেএলও নেতারাও বেঁকে বসেছিলেন। তাঁরা জানান, শুধু অসমের সঙ্গে আলোচনা চালালে সমস্যা মিটবে না। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কথা বলাও জরুরি। দেবরাজ জানিয়েছেন, শেষে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন কেএলও-রা আলোচনায় আসতে রাজি হয়েছেন। রবিবারের সভায় থাকছেন হর্ষবর্ধন, টম অধিকারী ও মালখান সিংহ। জীবন সিংহের বোন তথা প্রাক্তন কেএলও নেত্রী সুমিত্রা দাস ও তাঁর স্বামী ধনঞ্জয় বর্মণও সভায় থাকবেন।
সভায় থাকছে সদৌ অসম কোচ সম্মিলন, সদৌ অসম কোচ মহিলা পরিষদ, নারায়ণী সেনা, সদৌ অসম কোচ ছাত্র সংগঠন, কোচ সাহিত্য সভা, কোচ উন্নয়ন পরিষদ। দিবাকর জানান, কোচ শান্তি আলোচনা ও চুক্তির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে রবিবারের সভা। কোচদের এত দিনের দাবিসমূহ সমাধান ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত দরকার ছিল। সেই উদ্দেশ্যেই সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। দিবাকর বলেন, “শান্তি আলোচনায় আমাদের প্রধান দাবি হবে, কোচ-কামতাপুর এলাকা পুনর্গঠন করতে হবে। কোচদের এসটি মর্যাদা দিতে হবে।”
জীবন সিংহও কি মায়ানমারের জঙ্গল ছেড়ে ভারতে ঢুকতে চলেছেন? তেমন ইঙ্গিতও দিলেন দেবরাজ সিংহ। তিনি বলেন, “জনতা চাইলেই বাবা ফিরে শান্তি আলোচনায় বসবেন। বাবা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কোচদের দাবি ও কেএলও সমস্যার প্রতি সহানুভূতিশীল। তাই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy