কেএলও প্রধান জীবন সিংহ (মাঝে)। ছবি: সংগৃহীত।
সরকার আলোচনার প্রস্তাব দিলে তাতে কি রাজি হবেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ? প্রাক্তন কেএলও জঙ্গি এবং প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাক্তনদের কয়েক জনকে দিয়ে জীবনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে কয়েক মাস ধরে। তাঁদেরই এক জন সম্প্রতি জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীতে আপত্তি জানিয়েছেন জীবন। উপরন্তু জীবন নাকি বলেছেন, প্রয়োজনে তাঁরাই রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। ওই মধ্যস্থতাকারীর মনে হচ্ছে, জীবন সম্ভবত রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় এই মুহূর্তে আগ্রহী নয়।
এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আলিপুরদুয়ারের জেলা সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে কেএলও প্রধান জীবন সিংহের দিকে থেকে পরপর ভিডিয়ো বার্তা আসতে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে প্রথম আলাদা রাজ্যের দাবি তোলা হয়। পরে আলাদা রাষ্ট্রেরও দাবি তোলেন জীবন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। তবে এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে অসম সীমানা, ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো এবং জীবনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু হয় বলে প্রশাসনের কোনও কোনও সূত্রের খবর। সেই সব সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যোগাযোগের কাজে প্রাক্তন কেএলও জঙ্গিদেরও কাজে লাগানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি এমনই এক মধ্যস্থতাকারীর কথায় সংশয় তৈরি হয়েছে, আদৌ জীবন কোনও রকম আলোচনা চাইছেন কি না।
ওই প্রাক্তন জঙ্গির দাবি, শীর্ষ পুলিশকর্তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তিনি জীবন সিংহের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁর দাবি, “জীবন আমায় স্পষ্ট বলেন, তাঁদের কোনও মধ্যস্থতাকারীর দরকার হবে না। (সরকারের সঙ্গে) যোগাযোগ করতে চাইলে তাঁরা নিজেরাই করবেন। জীবন আমাকে আরও বলেন, সরকারের যদি কেএলও নিয়ে কোনও সদিচ্ছা বা চিন্তাভাবনা থাকে, তা হলে বিবৃতি দিয়ে জানাক।’’
প্রাক্তন এই কেএলও জঙ্গি বলেন, “জীবনের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু মনে হয়েছে, উনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি নন। ওঁর মনে আলাদা রাজ্যের আবেগ এখনও রয়েছে।” তা হলে জীবন কি এখন মায়ানমারের জঙ্গলেই রয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তর তাঁর জানা নেই বলেই দাবি প্রাক্তন এই কেলও জঙ্গির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy