Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
Kalna Girl Death:

‘ওরা’ কারা? সত্যিই কি কেউ কালনার স্কুলছাত্রীকে বাঁচতে দিল না? পুলিশি তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে

শেষ বার মাকে ফোনে স্কুলছাত্রী বলেছিলেন, ‘‘ওরা আমায় বাঁচতে দেবে না!’’ ‘ওরা’ বলতে কাদের কথা বলতে চেয়েছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী? আপাতত এই প্রশ্ন ঘিরেই তৈরি হয়েছে রহস্য।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। প্রতীকী ছবি।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২৯
Share: Save:

শেষ বার মাকে ফোনে স্কুলছাত্রী বলেছিলেন, ‘‘ওরা আমায় বাঁচতে দেবে না!’’ তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পূর্ব বর্ধমানের কালনার ওই ঘটনার তদন্তে নেমে তরুণীর বলা ‘ওরা’ শব্দটি নিয়েই ভাবিত তদন্তকারীরা। ‘ওরা’ বলতে কাদের কথা বলতে চেয়েছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী? সত্যিই কি কেউ তাঁকে বাঁচতে দিল না? আপাতত এই দুই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তাঁরা।

যদিও এখনও পর্যন্ত তদন্তে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছেন কালনার এসডিপিও রাকেশ চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‘তদন্ত চলছে। তবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি এখনও। পরিবার জানিয়েছে, মেয়েটা শেষ বার ফোনে বলেছিল, ‘ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না!’ আপাতত এই বিষয়টি ধরেই তদন্ত এগোচ্ছে। মেয়েটি ও তাঁর মায়ের মোবাইল ফোনটিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’

অঙ্গনা হালদার (১৮) নামে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি ধাত্রীগ্রামে। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি কৃষ্ণদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তেন। প্রতি দিনই মায়ের সঙ্গে কালনায় এক শিক্ষকের কাছে ইংরেজি পড়তে আসতেন। শুক্রবারও এসেছিলেন। কিন্তু অন্য দিন যে সময় পড়া শেষ হয়, শুক্রবার তার কিছুটা আগেই শিক্ষকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অঙ্গনা। তার খানিক ক্ষণ পরেই তরুণী তাঁর মাকে ফোন করেন। ফোনে বলেন, ‘‘ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না।’’ এর পরেই ফোন কেটে দেন। পরিবারের বক্তব্য, একাধিক বার চেষ্টা করেও অঙ্গনাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। এর পরেই কালনা থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। দায়ের করা হয় নিখোঁজ ডায়েরি। এর পর সন্ধ্যায় জিউধারা এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে অঙ্গনার দেহ উদ্ধার হয়।

সেই ঘটনার পর দু’দিন কেটে গেলেও কিন্তু সেই অর্থে তদন্তের অগ্রগতি হয়নি বলেই দাবি অঙ্গনার পরিবারের। মৃতার কাকা শরদিন্দু হালদার বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের তদন্তে একেবারেই খুশি নই। বড় হয়ে অঙ্গনা চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। ওর ইচ্ছা পূরণ হল না।’’

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। তেঁতুলতলা, কালনা গেট, অম্বিকা কালনা স্টেশন চত্বর-সহ বেশ কিছু জায়গার সিসি ফুটেজে ব্যাগ কাঁধে অঙ্গনাকে একা হাঁটতে দেখা গিয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই শরদিন্দুর বক্তব্য, ‘‘আমার ভাইঝিকে খুন করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে সে স্বাভাবিকই ছিল। সিসিটিভি ফুটেজেও তা দেখা গিয়েছে। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করব। কিছু না হলে সিআইডি বা সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হব আমরা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kalna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE