পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। —ফাইল ছবি।
পশ্চিমবঙ্গের ‘জঙ্গলমহল’ হিসেবে পরিচিত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে এবং ঘাঁটি গাড়ছে— এমনই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
চিঠিতে সাংসদের দাবি, জঙ্গলমহল আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। তবে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের জন্য ওই এলাকার জনসংখ্যার ভারসাম্যে বদল ঘটেছে। অবৈধ ভাবে জমি অধিগ্রহণ, বিয়ের ফলে ওই অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতি নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে বেকারত্ব।
জ্যোতির্ময়ের অভিযোগ, রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল রেশন কার্ড বা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র তৈরি করে অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করছে। সে জন্য কঠোর আইন আনা ও সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছেন তিনি। ওই অঞ্চলে গত এক দশকের জমির মালিকানার নথি খতিয়ে দেখার অনুরোধও জানিয়েছেন জ্যোতির্ময়। পরে তাঁর দাবি, “পুরুলিয়া শহর-সহ জেলার একাধিক ব্লকে গত কয়েক বছরে নতুন বসতি তৈরি হয়েছে। তাঁরা কারা, তার তদন্ত হওয়া দরকার।” অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারা রয়েছে কি না, তা চিহ্নিত করার দায়িত্ব প্রশাসনের বলেও জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, বাঁকুড়া শহর ও লাগোয়া এলাকায় নতুন কিছু বস্তি গড়ে উঠেছে। তার তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। জেলার মানাচর এলাকাতেও নতুন কেউ থাকছে কি না, দেখা হচ্ছে। তবে বাঁকুড়া পুলিশের এক কর্তার দাবি, “অনুপ্রবেশ নিয়ে অভিযোগ পাইনি।” ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিন্হারও বক্তব্য, “এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই।”
পুরুলিয়ার তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার কটাক্ষ, “চিঠিতে স্পষ্ট যে, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে যাঁরা, প্রকারান্তরে তাঁদের ব্যর্থতাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে এনেছেন সাংসদ।” বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীরও দাবি, “কোথাও অনুপ্রবেশ নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy