১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীরও উত্তরপত্র জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: প্রতীকী
পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর সার্ভারে দেখা যাচ্ছে, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব কলকাতা হাই কোর্ট। নবম-দশমের পর মঙ্গলবার ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীরও উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি এর জন্য আরও সময় চেয়ে নিয়েছে। জানিয়েছে, বৈঠকের পরেই উত্তরপত্র প্রকাশ করা হবে। সেখানে সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখা হবে।
গাজিয়াবাদের সার্ভার থেকে এসএসসিতে নিয়োগ পরীক্ষার বেশ কিছু উত্তরপত্র মিলেছিল। তার মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার খাতা। সেগুলি যাচাই করে সিবিআই দেখে, পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রার্থী উত্তরপত্রে পেয়েছেন দুই। এমনকি, ওই জেলার এক জন উত্তরপত্রে পেয়েছেন শূন্য। অথচ এসএসসির সার্ভারে দেখা গিয়েছে, তাঁরা পেয়েছেন ৪৩ নম্বর। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। সেগুলি দেখে যাচাই করতে হবে যে, ওই প্রার্থীদের জন্য ভুয়ো সুপারিশ করা হয়েছে কি না।
এই নির্দেশের পরেই সময় চেয়ে নেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ১০০ জন প্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ করা হবে। তার আগে আলোচনা প্রয়োজন। যেমন নবম-দশমে ৪০ জন প্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ করার আগে বৈঠক হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও তা দরকার। মামলার সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবে তারা। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং মামলাকারীর আইনজীবী। বৈঠকে সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে দেখতে চায় তারা। কমিশন আরও জানিয়েছে, কত জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তা-ও খোঁজ করা হবে। ২১ ডিসেম্বর সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy