রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কের অবনতির জেরে তাঁদেরই সব চেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে বলে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ। পরিষেবা দিতে না-পারলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর আত্মীয়স্বজনের হাতে মারধরও খেতে হচ্ছে তাঁদের।
অথচ এই সব ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও ভূমিকাই থাকে না বলে ওই ডাক্তারদের দাবি। তাঁরা বলছেন, পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। কিন্তু তারা অনেক সময়েই ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ব্যর্থতার দায় বর্তাচ্ছে তাঁদের উপরে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে সরকারকে কয়েক দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা।
‘অলটারনেটিভ পিপলস হেলথ ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি সংগঠনের তরফে চিকিৎসক বৈশালী বিশ্বাস বলেন, ‘‘কোথাও একটা গরমিল হচ্ছে। একটা হাসপাতালে কত শয্যা খালি আছে, সেই হাসপাতালে আদৌ শিশু বিভাগ আছে কি না, প্রথমেই কেন সুপার স্পেশ্যালিটিতে গিয়ে ভিড় বাড়ানো হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কোনও প্রচার নেই। ফলে অনেকেই ভুল জায়গায় আসছেন। চিকিৎসা না-পেয়ে মারাও যাচ্ছেন বহু রোগী। পরিণামে মার খাচ্ছেন ডাক্তারেরা।’’
এই সমস্যার সুরাহায় রেফারেল ব্যবস্থা ঢেলে সাজার দাবি জানাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই সঙ্গে সরকারের কাছে তাঁদের দাবি, ডাক্তার-নার্স এবং অচিকিৎসক কর্মী-সহ সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীর শূন্য পদে অবিলম্বে নিয়োগ করা হোক। রেফারেল ব্যবস্থা আরও জোরদার হোক। গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রোগী যাতে সরাসরি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে না-আসেন, যাতে তাঁরা ব্লক, মহকুমা বা জেলা হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা পান, সেগুলো নিশ্চিত করা হোক। কলকাতা ও জেলার হাসপাতালগুলিতে কোথায়, কত শয্যা খালি রয়েছে, সব সময়েই ডিসপ্লে বোর্ডে সেই তালিকা টাঙিয়ে রাখার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, পুরো বিষয়টিকে তাঁরাও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। দফতরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রচারে কিছু ঘাটতি রয়েছে। তার জেরেই অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হয়। সে-দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy