ভবানী ভবন।—ফাইল চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভ প্রশমনে আশ্বাস দিল রাজ্য। তাতে সাময়িক শান্ত হলেও জুনিয়র চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আশ্বাস পূরণ না-হলে ফের পথে নামবেন তাঁরা। এনআরএসে চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডে আসল দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে লালবাজার অভিযান করতে চেয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
প্রশাসনের খবর, সেই অভিযান ঠেকাতে শনিবার ভবানী ভবনে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের উপস্থিতি চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। বৈঠকের পরে জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানান, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে নিগ্রহ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের তরফে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দিতে তাঁরা রাজি। কিন্তু কাজ না-হলে পথে নামা ছাড়া রাস্তা খোলা থাকবে না।
এনআরএস-কাণ্ডে পাঁচ জন গ্রেফতার হলেও পরে তাঁরা জামিন পেয়ে যান। জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারা ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত কি না, তা নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এনআরএস থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিল করতে চেয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মিছিলের প্রয়োজন নেই, বোঝাতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ দিন ভবানীভবনে ডিজি’র সঙ্গে বৈঠক হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানান, এনআরএসের পাশাপাশি আন্দোলন চলাকালীন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে যে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছিল, তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘‘এনআরএসের ক্ষেত্রে আরও ১৫ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জেনেছি। বর্ধমানের বিষয়টি ডিজি নিজে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’’
অভিযুক্তদের গ্রেফতার ছাড়াও হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়েও এ দিন আলোচনা হয়। ইতিমধ্যে শহরের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে জনসংযোগ কেন্দ্র চালু, অনভিপ্রেত ব্যক্তির আনাগোনা রোধে চোখে পড়ার মতো পদক্ষেপ করা হয়েছে। এসএসকেএমে যেমন গত দু’বছর ধরে যেখানে ডেপুটি সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার রোগীর পরিজনদের সমস্যার কথা শোনেন সেটিই এখন ‘জনসংযোগ কেন্দ্র’। আগামী সপ্তাহে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বৈঠক করার কথা। জেলার হাসপাতালগুলির অবস্থা কেন তথৈবচ সেই প্রশ্ন বৈঠকে উঠেছিল। এক জুনিয়র চিকিৎসক জানান, জেলার হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা নিজে যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে অর্চিস্মান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা ডাক্তার, ডাক্তারিই করতে চাই। প্রশাসনের উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে ডিজি যা বলেছেন সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলে পথে নামতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy