অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের জমা করা নথি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করলেন আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শুক্রবার বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে আদালতে হাজির করানো হয়। ওই মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর জমা করা কেস ডায়েরি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিচারক বলেন, ‘‘এমন জিনিস তো চোখেই দেখিনি!’’
শুক্রবারের শুনানিতে অনুব্রতের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন করেননি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে আবার জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করেন। সেই সঙ্গে গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের যোগ নিয়ে তদন্ত কত দূর এগোল, সেই নথি (কেস ডায়েরি)-ও জমা করেন তিনি। আদালত সূত্রে খবর, সেই কেস ডায়েরি ভাল করে খতিয়ে দেখে বিচারক বলে ওঠেন, ‘‘২০ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছি। এমন জিনিস কখনও চোখে দেখিনি।’’ কিন্তু বিচারক কেন এমন মন্তব্য করলেন, তা অবশ্য তিনি স্পষ্ট করেননি।
তবে সিবিআই সূত্রে দাবি, বড় চক্রান্তে অনুব্রতের যোগসাজশের হদিস মিলেছে। আদালতে জমা করা কেস ডায়েরিতে তার উল্লেখ ছিল। সম্ভবত, তা-ই দেখে ওই মন্তব্য করেছেন বিচারক। যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেউ কিছুই জানাননি। মামলার শুনানি শেষে অনুব্রতকে আরও ১৪ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২২ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
তার আগে ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে অনুব্রতের জামিনের আর্জির ভিত্তিতে শুনানি রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, উচ্চ আদালতে অনুব্রতের বিরুদ্ধে তদন্তে নতুন যা যা তথ্য উঠে এসেছে, তা উত্থাপন করে তৃণমুল নেতার জামিনের বিরোধিতা করা হবে। ওই সূত্রেরই দাবি, যা তথ্য মিলেছে, তা অনুব্রতের জামিন আটকানোর জন্য যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy