জয়ের শংসাপত্র পেয়ে সোমবার রাতে দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জহর। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়ের সার্টিফিকেট পেলেন জহর সরকার। সোমবার ছিল রাজ্যসভার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শুধুমাত্র তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে এই প্রাক্তন আমলার মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তাই আর কোনও মনোনয়ন দাখিল না হওয়ায় জহরবাবুকে জয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়। বিধানসভায় সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। জয়ের শংসাপত্র পেয়ে সোমবার রাতে দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জহর। তবে কবে শপথ নেবেন, সেই দায়িত্ব দলের সংসদীয় দলের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
জয়ের সার্টিফিকেট পেয়ে জহর বলেছেন, ‘‘আমি আরও একটি সুযোগ পেলাম। যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লিখে এবং নানা মঞ্চ থেকে প্রতিবাদ করেছি, এবারও সেই প্রতিবাদ করব। রাজনীতির জন্য অনেক ব্যাটসম্যান আছে, ওরা যেখানে আমাকে কাজে লাগাবে সেখানেই কাজ করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদী সরকারের সঙ্গে আমার মতপার্থক্য হলে আমি সরকারের দায়িত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসি। এদের সঙ্গে কাজ করা যায় না। বেরিয়ে আসার পর ডিমনিটাইজেশন। এটা কতবড় ভুল, এখনও তা বুঝতে পারেনি। বলে যাচ্ছে, ঠিক হয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ক্ষেত্রে আমি কাজ করেছি। পুরো বিষয়টি নগদ লেনদেনের উপর চলে। নোটবন্দির ফলে এই ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে।’’
রাজনীতির ইনিংস শুরু নিয়ে জহর বলেছেন, ‘‘এই বয়সে গিয়ে কি আর রাজনীতি শিখব? চাকরি জীবনে যেভাবে শিখতে শিখতে কাজ করেছি, সেভাবেই একের পর এক ইস্যু নিয়ে সরব হব। যেমন পেগাসাসের ফোনে আড়িপাতা নিয়ে সরব হব, তেমনই সরব হব কোভিড নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের বিরুদ্ধে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের বলা সব তথ্যই তো আমার কাছে আছে। তার নীরিখেই আমি জানতে চাইব।’’
প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই আসনেই জয়ী হয়ে রাজ্যসভার সদস্য হলেন জহর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy