প্রতীকী ছবি
যে দুই যুবক ধারালো ছুরি দেখিয়ে নির্যাতিতাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল বলে এ দিনও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার দিদি, তাদের হদিশ পাঁচ দিনেও কেন পেল না পুলিশ? মঙ্গলবার ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হবে। তার আগের দিন এই প্রশ্নই বারবার উঠছে। এবং এই সূত্র ধরেই বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, যেখানে এক তৃণমূল নেতা জড়িয়ে পড়েছেন, সেখানে মেয়েটি ন্যায় বিচার পাবে তো?
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে পুলিশকর্তা, সকলেই অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন। পুলিশ নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। কিন্তু ঘটনার পরে পাঁচ দিনেও দুই অভিযুক্তের খোঁজ না মেলায় নির্যাতিতার বাড়ির লোকজন উদ্বিগ্ন। নির্যাতিতার দিদি এ দিনও বলেছেন, ‘‘প্রথমে বাবা-মা, তার পরে বোনকেও খুন করার হুমকি দিয়েছিল ওরা।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মেয়েটির শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও একটি হাসপাতালের অন্যতম স্বাস্থ্যকর্তা সঞ্জয় মল্লিক এ দিন বলেন, ‘‘নাবালিকার শরীরের ৬০ শতাংশেরও বেশি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশের কিছু বেশি গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। সংক্রমণও ছড়াচ্ছে শরীরে। সব ধরনের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, নাবালিকার শরীরে ক্রমশ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
একই সঙ্গে পাঁচ দিনেও দুই অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় কতটা ন্যায় মিলবে, তা নিয়েও চিন্তা রয়েছে পরিবারের। বিশেষ করে আপাতত পুলিশি হেফাজতে থাকা দুই অভিযুক্তই নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন। তার পরে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।’’
যদিও তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় এ দিনও বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা যে দলেরই হোক না কেন, কেউই রেহাই পাবে না। জেলা পুলিশ সুপারকেও সাফ এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ চার দিন ধরে ধৃতদের জেরা করার পরেও
কেন অধরা বাকি অভিযুক্তেরা, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে রাজি হননি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত থেমে নেই। তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা এখনই সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy