রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়ের ডাকে সাড়া দিলেন না রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্যে রাজভবনে সোমবার উপাচার্যদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন আচার্য। এ দিন ওই বৈঠকের জন্য অপেক্ষাও করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও এক জন উপাচার্যও বৈঠকে যোগ দিতে আসেননি। এ নিয়ে রীতি মতো ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। এমনটাই জানা গিয়েছে রাজভবন সূত্রে।
যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল রাজ্যপালকে। বিষয়টি নিয়ে চরম অপমানিত বোধ করে, তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা দফতরের ভূমিকা নিয়ে তোপ দেগে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছিলেন, ১৩ জানুয়রি রাজভবনে উপাচার্যরা যাতে বৈঠকে যোগ দেন, সে কারণে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।
রাজ্য এবং রাজ্যপাল সঙ্ঘাতের আবহে আচার্যের ক্ষমতা নিয়ে নতুন বিধি পাশ হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকতে হলে, তা উচ্চ শিক্ষা দফতর মারফত করতে হবে। উচ্চ শিক্ষা দফতরকে এড়িয়ে করা যাবে না। আচার্য যে বৈঠক ডেকেছিলেন, তা শিক্ষা দফতরকে এড়িয়ে যাওয়ায় উপাচার্যরা বৈঠকে যোগ দেননি বলে মত ওই আধিকারিকের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাত্র বিক্ষোভের মুখ থেকে উদ্ধার করে আনার পর থেকেই পড়ুয়া, শিক্ষা দফতর এবং রাজ্যপালের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে। আচার্যকে না জানিয়ে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠক এবং পরিচালন সমিতির বৈঠক স্থগিত হওয়ার পর, তাঁকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও রাজ্যপাল সরব হন। এর মধ্যে টুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধানের ভূমিকা পালন করছেন কি না, তা নিয়ে তোপও দেগেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy