জগদীপ ধনখড়।
দু’বছর আগে প্রণয়নের সময় থেকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট’-এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে চিকিৎসক সংগঠনগুলির মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। রবিবার সেই অসন্তোষ মেটানোর আশ্বাস দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই আশ্বাস বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনালিস্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বা এনডিএ-র বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্যপাল। অন্য অতিথিরা হলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত। আমন্ত্রণপত্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের নাম আছে। সেই মঞ্চে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা যখন ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেন, তখন তাঁদের ২৪ ঘণ্টাই সম্মান প্রাপ্য। এ রাজ্যে একটা আইন রয়েছে। সেই আইনে এমন কিছু আছে, যা সম্ভবত চিকিৎসকেরা যে-পরিস্থিতিতে কাজ করেন এবং তাঁদের যে-মর্যাদা প্রাপ্য, তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’’ ওই আইন নিয়ে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ লিখিত ভাবে দিতে বলেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব। সেই কাজ জটিল অস্ত্রোপচারের মতো কঠিন হলেও তা করার চেষ্টা করব।’’ পাশাপাশি, চিকিৎসক-নিগ্রহও উচিত নয় বলে জানান রাজ্যপাল।
এনডিএ-র অর্গানাইজ়িং কমিটির চেয়ারম্যান রামদয়াল দুবে বলেন, ‘‘কেশরীনাথ ত্রিপাঠী রাজ্যপাল থাকাকালীন তাঁকেও ওই আইন নিয়ে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছিলাম। নতুন রাজ্যপাল সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেছেন। আমরা খুশি।’’ সম্মেলনের অর্গানাইজ়ি সেক্রেটারি সোমনাথ সরকারের বক্তব্য, আলোচনা ছাড়াই ওই আইন বলবৎ করা হয়েছে।
ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। সেই সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক চাকীর বক্তব্য, বিল কেন বেশি, তা ব্যাখ্যা করবে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে চিকিৎসকদের কী সম্পর্ক! কিন্তু আইনকে অস্ত্র করে দিনের পর দিন স্বাস্থ্য কমিশনে চিকিৎসকদের ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে। কৌশিকের কথায়, ‘‘আইন নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য স্বাগত। কিন্তু প্রাক্তন রাজ্যপালকে এ নিয়ে জানিয়েও বিষয়টি এগোয়নি। সেই জন্যই আইনের দ্বারস্থ হই।’’ অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টরসের সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘রাজ্যপাল এ কথা বলে থাকলে স্বাগত। তবে অন্য চিকিৎসক সংগঠনের বক্তব্যও শোনা উচিত।’’
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সম্প্রতি ওই আইনের একটি সংশোধনীতে উনি সই করেছেন। কোন ভাবনা থেকে এ কথা বলছেন জানি না। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদ। আশা করি, উনি সংবিধানগত ভাবেই যা করার করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy