Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Gautam Adani In Bribery Case

আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে

আমেরিকার বিচার বিভাগীয় আদালত এবং এসইসি-র অভিযোগ, বাজারের থেকে বেশি দামে সৌর বিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে ভারতে বেশ কিছু রাজ্যের সরকারি কর্তাদের ঘুষ দিয়েছে আদানিরা।

গৌতম আদানি।

গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি, নিউ ইয়র্ক ও ঢাকা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:০৩
Share: Save:

আদানি কাণ্ডের জল গড়িয়েছে আমেরিকা পর্যন্ত। ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে সে দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি সমন পাঠিয়েছে গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সাগরকে। এ বার এ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল নতুন মামলা। যেখানে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার এই অভিযোগই প্রমাণ করে দেয় আদানি গোষ্ঠীর পরিচালনায় খামতি রয়েছে এবং তারা আইন ভেঙে কাজ করে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে শীর্ষ আদালতকে আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। আদানি গোষ্ঠী অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে আমেরিকার নিয়ন্ত্রকের এই পদক্ষেপ নিয়ে আপত্তি তুলেছে। সূত্রের দাবি, কোনও ভারতীয় সংস্থা বা ব্যক্তিকে সরাসরি সমন পাঠানোর অধিকার এসইসি-র নেই। তাদের কূটনৈতিক পথে তা পাঠাতে হবে। যা পেতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমন আদানিদের হাতে আসেনি।

আমেরিকার বিচার বিভাগীয় আদালত এবং এসইসি-র অভিযোগ, বাজারের থেকে বেশি দামে সৌর বিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে ভারতে বেশ কিছু রাজ্যের সরকারি কর্তাদের ঘুষ দিয়েছে আদানিরা। সেই কথা গোপন করে টাকা তুলেছে আমেরিকা থেকে। যার পুরোটাই প্রতারণা।

এই পরিস্থিতিতেই ২১ দিনের মধ্যে গৌতম এবং সাগরকে তাঁদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে। না হলে অভিযোগকারীর দাবির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে এসইসি। আদানি গোষ্ঠীর অবশ্য দাবি, কাঠগড়ায় শুধু আদানি গ্রিন এনার্জির একটি চুক্তি। আর সূত্র জানাচ্ছে, বিদেশি ব্যক্তিকে সমন পাঠানোর কোনও আইনি এক্তিয়ার এসইসি-র সামনে নেই। কারণ, ১৯৬৫ সালে হেগ কনভেনশন এবং ভারত-আমেরিকার আইনি সহায়তা চুক্তির মাধ্যমেই বিষয়টি পরিচালিত হওয়ার কথা। ফলে নিউ ইয়র্কের আদালতে তা পেশ করা হলেও, আদতে সেটা আদানিদের কাছে এসে পৌঁছতে সময় লাগবে।

এই পুরো ঘটনা সামনে আসার পরে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছেন তিওয়ারি। দাবি করেছেন, আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুরুতর। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে তদন্ত করানো উচিত। বিশেষত, সেবি-র উচিত তদন্ত করে পুরো বিষয়টি সামনে আনা। যাতে নিয়ন্ত্রকের প্রতি লগ্নিকারীদের আস্থা বজায় থাকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy