আইএসএফ নেত্রী জুবি সাহা। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে জুবি সাহা নামে এক আইএসএফ নেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাঁকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীদের প্ররোচনা দেওয়া, মানুষকে একত্রিত করে বিক্ষোভ গড়ে তোলা-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে শুক্রবার সকাল ৬টায় তাঁকে গ্রেফতার করে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। শুক্রবারই তাঁকে বসিরহাট আদালতে হাজির করানোর কথা।
আইএসএফ সমর্থক তথা জুবির বন্ধু নাতাশা একটি ফেসবুক লাইভ করে অভিযোগ করেন যে, সন্দেশখালি ২ ব্লকে অশান্তির ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশ অভিযোগ করলেও, সেখানে জীবনে কোনও দিন যাননি জুবি। পুলিশ রাজনৈতিক কারণে জুবিকে হেনস্থা করছে বলে দাবি করেছেন নাতাশা খান।
জানা গিয়েছে, জুবি নওশাদ সিদ্দিকির দলের রাজ্য কমিটির সদস্য। তা ছাড়া তিনি মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়ন (আম্মা)-র অন্যতম সংগঠকও। তাঁর গ্রেফতারির নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)। জুবিকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবারই সন্দেশখালির ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ৫৫ দিন পর গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে। পুলিশ শাহজাহানকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল। বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক তাঁকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। শাহজাহানের মামলার তদন্তভার গিয়েছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির হাতে। এই সংক্রান্ত সব অভিযোগের তদন্ত করবে সিআইডি। শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর তাঁকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy